লোকসভা ভোট পরবর্তী হিংসা যেন থামছেই না বাংলায়। ভাটপাড়া, পাত্রসায়র, গুড়াপের পর এবার উত্তপ্ত পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট। গ্রাম দখলকে ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মঙ্গলকোটের ন’পাড়া ও সাকোনা গ্রাম। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, গ্রাম দখলকে ঘিরে ওই এলাকায় রাতভর বোমাবাজি-গুলি চলে। পুলিশকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। দুষ্কৃতীদের রুখতে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ, দাবি এলাকাবাসীদের একাংশের।
আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ গুড়াপ, ‘পুলিশের গুলিতে’ আহত এক
ঠিক কী ঘটেছিল?
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, গ্রাম দখলকে ঘিরে মঙ্গলকোটের ন’পাড়া ও সাকোনা গ্রামে বোমাবাজি ও গুলির লড়াই চলে। তৃণমূলের অভিযোগ, গ্রাম দখল করতে গতরাতে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাইরে থেকে দুষ্কৃতী এনে বিজেপি গ্রামে হামলা চালায়। তৃণমূলের বেশ কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। বাড়ির ভিতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, গতরাতে এলাকায় মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা-গুলি চলেছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। অকুস্থলে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করেও দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য করে পুলিশও কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এরপরই দুষ্কৃতীরা পিছু হঠে। যদিও গুলি চালানো নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি পুলিশ। গোটা গ্রামে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ব্যান্ডেলে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা, অভিযুক্ত বিজেপি
এ ঘটনা প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তৃণমূল নেতা অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাদের দলের কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। বিজেপি গ্রামগুলোকে দখল করতে চেয়েছিল। গ্রামবাসীরাই প্রতিরোধ করেছেন। প্রত্যেক জায়গায় ওরা অশান্তি করছে। অথচ ওরা বলছে, ওরা কিছু করছে না। আমরা এসব এলাকায় ঝামেলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ২০১১ সালের পর থেকে ন’পাড়ায় গোলমাল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত ৮ বছরে মঙ্গলকোটে অশান্তি বাধেনি। বিজেপি-সিপিএম সব এক হয়ে গিয়েছে। মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ওরা (বিজেপি) যদি এখানে এবার ভোটে জিতত, তাহলে কী হত কে জানে!’’
বিজেপি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে বিজেপি। দলীয় কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে পুলিশ, এমনই অভিযোগ করেছে বিজেপি। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা যাচ্ছে। গ্রামে টহলদারি চালাচ্ছে পুলিশ।