৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় তখন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের শুরুর দিক। নিজের বক্তব্যে স্বাধীনতার লড়াইয়ে হাজারো বীর শহিদদের স্মৃতি তপর্ণ করছেন মোদী। এই সময়ই স্বাধীনতা সংগ্রামী মাতঙ্গিনী হাজরাকে অসমের বলে মন্তব্য করে বসলেন নরেন্দ্র মোদী। যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যে সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। মোদী ও নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা শুভেন্দু অধিকারীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘নতুন ভারত বড় স্বপ্ন দেখে-কেউ রুখতে পারবে না’, লালকেল্লায় মোদী
লালকেল্লার ভাষণে দেশের স্বাধীনতায় শহিদদের স্মরণ করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের স্মরণ করছিলেন তিনি। নিজের বক্তব্যে বিভিন্ন প্রদেশের অসীম সাহসী মহিলাদের সঙ্গেই উচ্চারিত হয় তমলুকের মাতঙ্গিনী হাজরার নাম। আর যাকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক তুঙ্গে। বাংলার তমলুকের বদলে মাতঙ্গিনী হাজরাকে অসমের বীরাঙ্গনা হিসাবে দাবি করে বসেন মোদী।
আরও পড়ুন- নজরে পোক্ত অর্থনীতি, ১০০ লক্ষ-কোটির গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যানের ঘোষণা মোদীর
এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছে অএ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দলের এ রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধে লিখেছেন, "মাতঙ্গিনী হাজরা অসমের? প্রধানমন্ত্রী কি পাগল হলেন? নিজে জানেন না। আবেগ নেই। অন্যের লিখে দেওয়া ভাষণ পড়ে নাটক করতে গেলে এই হয়। এটা বাংলার প্রতি অপমান। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চান। ওঁদের পূর্ব মেদিনীপুরের গদ্দারও ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিন।"
তোপ দেগেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেছেন, "এঁরা শুধু সাম্প্রদায়িক বিভাজন জানেন। মাতঙ্গিনী হাজরার স্থান অনেক উঁচুতে, স্বাধীনতার যুদ্ধে তাঁর আত্মত্যাগ অমর হয়ে থাকবে। এটা মোদীরজির অক্ষমতা যে উনি মাতঙ্গিনী হাজরা সম্পর্কে জানেন না।"
আরও পড়ুন- গানে-কবিতায় স্বাধীনতা দিবস পালন মুখ্যমন্ত্রীর, রেড রোডে তুললেন জাতীয় পতাকা
প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'বেফাঁস' মন্তব্যকে অবশ্য 'ছোট-খাটো ভুল' বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী মাতঙ্গিনী হাজরাকে অসমের বলেছেন। এঠা ছোট-খাটো ভুল। এটাকে বড় করে দেখা উচিত নয়। যাঁরা এতেই এত দুঃখ পাচ্ছেন তাঁরা এতদিন মাতঙ্গিনী হাজরার জন্য কী করেছেন?"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন