পাঁচ রাজ্যে বিধানসভায় হেরে কিছুটা কোণঠাসা হওয়ার পরপরই রাফাল নিয়ে সুপ্রিম রায় বেরিয়েছে মোদীর পক্ষে। বিধানসভার হারের ব্যর্থতা খানিকটা হলেও পুষিয়ে নিয়েছেন রাফাল নিয়ে শীর্ষ আদালতের দেওয়া রায় দিয়েই। বুধবার আবার রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে মোদী কংগ্রেসকে এক হাত নিলেন।
বুধবার রাজধানীতে বসে দলের সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বলেন, "একটি গণতন্ত্রে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ, তাদের প্রতিটির প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছে কংগ্রেস। জরুরি অবস্থার সময় থেকেই দল হিসেবে ক্রমশ ধূর্ত হয়ে উঠেছে কংগ্রেস"।
তিনি আরও বলেন, "কংগ্রেসের অগণতান্ত্রিক আচরণের জবাব দিতেই আরও মজবুত করতে হবে গণতন্ত্রকে। তথ্য এবং সচেতনতা গণতন্ত্রে খুবই প্রাসঙ্গিক। কংগ্রেস এবং তাদের বিপজ্জনক খেলা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে আমরা সব তথ্য দিতে থাকব"।
আরও পড়ুন, বুলন্দশহর হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়: যোগী আদিত্যনাথ
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদীর এ হেন মন্তব্যের ঠিক একদিন আগেই কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনি ধ্বংস হতে দেবেন না।
রাফাল চুক্তির পদ্ধতি নিয়ে হস্তক্ষেপ না করার রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। রায়-এর সমালোচনা করে তার প্রেক্ষিতে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বললেন, "রাফাল রায় ওদের পছন্দ হয়নি, তাই এত প্রশ্ন তুলছে। ওরা ক্যাগ, ভারতীয় সেনাবাহিনী, সব প্রতিষ্ঠান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। কারণ এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধন্ত ওদের পছন্দ হয়নি। নিজেদের চাহিদা মতো আদালতকে প্রভাবিত করতে না পেরে মুখ্য বিচারপতিকে ইমপিচ করার চেষ্টাও করেছিল"।
ইভিএম-এ কারচুপি করা হয়েছে বলে নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচন চলাকালীন বিজেপি-র বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছিল কংগ্রেস, এ দিন তার বিরুদ্ধেও সোচ্চার হলেন মোদী। বললেন, "প্রতিটা নির্বাচনের আগে ভোট যন্ত্র নিয়ে নানা হৈচৈ শুরু করে কংগ্রেস। অথচ ফলাফল কংগ্রেসের পক্ষে গেলেই চুপ করে যায়"।
Read the full story in English