দেশভাগের সময় আরএসএসের শাখা অফিসে গিয়েছিলেন গান্ধীজি। আরএসএসের স্বয়ংসেবকদের নিয়মানুবর্তিতার প্রশংসা করেছিলেন জাতীর জনক। বুধবার গান্ধীজির সার্ধশতবর্ষে এমন দাবিই করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি এদিন বলেন, গান্ধীজির আদর্শ, মূল্যবোধ স্মরণ করেন সংঘের স্বয়ংসেবকরা।
ঠিক কী বলেছেন মোহন ভাগবত?
সরসংঘচালক বলেন, ‘‘দেশভাগের সময় দিল্লিতে নিজের বাড়ির কাছে আরএসএসের একটি শাখায় গিয়েছিলেন গান্ধীজি। শাখায় সংঘের স্বয়ংসেবকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। একথা ১৯৪৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হরিজন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সংঘের স্বয়ংসেবকদের নিয়মানুবর্তিতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন গান্ধীজি’’। আরএসএস প্রধানের দাবি, ১৯৩৬ সালে ওয়ার্ধার কাছে সংঘের আরও একটি শিবিরে গিয়েছিলেন গান্ধীজি। পরের দিন আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা হেডগেওয়ার গান্ধীজির সঙ্গে দেখা করেন তাঁর আশ্রমে।
আরও পড়ুন: ‘দেশে যা ঘটছে, গান্ধীজির আত্মা কষ্ট পেত’, বিজেপি-আরএসএসকে নিশানা সোনিয়ার
Gandhiji, who believed in the Swa-based reorganisation of Bharat,firmly stood for social equality and harmony and translated his vision into action,had set an example for all through his life.We must perceive,understand and manifest it in our life.-Mohanji Bhagwat#GandhiJayanti pic.twitter.com/eE19jAShsk
— RSS (@RSSorg) October 2, 2019
উল্লেখ্য, এদিনই রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধী বলেন যে, ভারত ও গান্ধীজি একে অপরের সমার্থক, কিন্তু কয়েকজন লোক আরএসএসকে দেশের সমার্থক করে তুলতে চাইছেন। এ প্রসঙ্গে সোনিয়া আরও বলেন, ‘‘যাঁরা মিথ্যার রাজনীতি করেন, তাঁরা গান্ধীজির অহিংস নীতি বুঝবেন না’’। ইউপিএ চেয়ারপার্সন এছাড়াও বলেন, শুধুমাত্র কংগ্রেসই গান্ধীজির পথ অনুসরণ করেছে।
Read the full story in English