Advertisment

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন খট্টর, সহকারী দুষ্যন্ত চৌতালা

রাজ্যের নতুন সরকারকে শুভ কামনা জানালেও বিজেপি-জেজেপি জোটের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দ্বিতীয়বারের জন্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মনোহর লাল খট্টর।

দ্বিতীয়বারের জন্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মনোহর লাল খট্টর। এদিন রাজভবনে খট্টররে শপথ বাক্য পাঠ করেন তিনি রাজ্যপাল সত্যেন্দ্র আর্য। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন জেজপি প্রধান দুষ্যন্ত চৌতালা। বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি গেরুয়া শিবির। ম্যাজিক আসন থেকে ৬টি কম পায় তারা। কিন্তু, হরিয়ানার দখল ছাড়তে নারাজ ছিল পদ্ম নেতৃত্ব। অবশেষে জেজেপির হাত ধরে ফের হরিয়ানার শাসন নিজেদের দখলে রাখল বিজেপি।

Advertisment

শপথের পর রবিবার বিকেলে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠক করেন খট্টর। এবার প্রত্যাশার থেকেও এবার ভাল ফল করেছে কংগ্রেস। বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠনের জোর চেষ্টা চালিয়েছেলেন হরিয়ানার হাত শিবিরের মুখ ভূপিন্দর সিং হুডা। কিন্তু, তা কার্যকরী হয়নি। দুষ্যন্ত চৌতালা বিজেপিকেই সমর্থনের ঘোষণা করেন। মসনদ দখলের লড়াইতে হারলেও রবিবার মনোহর লাল খট্টরের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুডা। এসেছিলেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর এল কাটারিয়া, কে পি গুর্জর, ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। এছাড়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন এনডিএ জোট শরিক শিরোমণি আকালি দলের নেতা প্রকাশ ও সুখবীর সিং বাদল। আর ছিলেন সদ্য তিহাড় জেল থেকে ‘ছুটি’ পাওয়া দুষ্যন্তের বাবা, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অজয় চৌতালা।

আরও পড়ুন: ৫০-৫০ ফর্মুলায় অনড় শিবসেনা, প্রয়োজনে ‘বিকল্পের’ হুমকি

রাজ্যের নতুন সরকারকে শুভ কামনা জানালেও বিজেপি-জেজেপি জোটের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা। তিনি বলেন, 'এই দুই দলের মধ্যে পরস্পর বিরোধিতা রয়েছে। জেজেপি বিজেপির সমালোচনা করে ভোট পেল। কিন্তু, সমর্থন করল তাদেরই। জেজেপি জনাদেশের বিরোধী কাজ করল। এটা সুবিধাবাদের জোট।'

একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না মেলায় হরিয়ানায় দ্বিতীয়বার সরকার গঠন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল গেরুয়া শিবিরের। উল্টোদিকে, ক্ষমতা দখলের জন্য আসরে নামে কংগ্রেসও। এই অবস্থায় ফের বাজিমাত পদ্ম শিবিরের ‘কৌটিল্য’ অমিত শাহের। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি দুষ্যন্ত চৌতালাকে পাশে বসিয়ে শুক্রবার রাতেই ডিল ফাইনাল করেন তিনি। ঘোষণা করেন, হরিয়ানায় জেজেপি-বিজেপি জোটই সরকার গঠন করবে।

আরও পড়ুন: হরিয়ানা-মহারাষ্ট্রে জয়ের গড় ব্যবধানে এগিয়ে কংগ্রেস, পিছিয়ে বিজেপি

অমিত শাহ বলেছিলেন, ”হরিয়ানার জনতার জনাদেশকে সম্মান করি। সেই জনাদেশ মাথায় নিয়ে দুই দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিজেপি ও জেজেপি একসঙ্গে সরকার চালাবে। মুখ্যমন্ত্রী হবেন ভারতীয় জনতা পার্টির। উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন জেজেপি-র। নির্দল বিধায়করাও সমর্থন দিয়েছেন।’ জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রী পদ থাকবে বিজেপি ও জেজেপি থেকে হবেন উপমুখ্যমন্ত্রী।

হরিয়ানার সরকার করতে নির্দলদের সমর্থন আগেই জোগাড় করে ফেলেছিল পদ্ম শিবির। তবে, বিতর্ক বাধে নির্দল বিধায়ক কান্ডার সমর্থন ঘিরে। তাঁকে নিয়ে আপত্তি তোলেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। দুই আত্মহত্যার প্রোরচনা যাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে তাঁর সমর্থন নিয়ে কেন বিজেপি সরকার গঠন করবে? প্রশ্ন তোলে বিরোধীরাও। তাই স্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যেই তড়িঘড়ি জেজেপি প্রধান দুষ্মন্ত চৌটালার সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। নিশ্চিত করে ফেলেন তাঁদের সমর্থন।

Read the full story in English

haryana bjp
Advertisment