Mukul Roy: মান-অভিমান, রাগ-বিক্ষোভ ভুলে চার বছর পর ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। মুকুলের প্রত্যাবর্তন ঘিরে শুক্রবার রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূলে ফেরার দিনই বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন। কেউ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন, কেউ আবার মুকুলকে গদ্দার-মীরজাফর বলে কটাক্ষ করেছেন। মুকুলের ঘরওয়াপসির দিনই সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া দিল বঙ্গ বিজেপি।
এদিন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার মুকুলের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে বলেন, "ওনাকে অনেক শুভেচ্ছা। একটা নতুন ইনিংস শুরু করছেন। বিজেপি তাঁকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েছিল, তাও তিনি তৃণমূলে ফিরে গেলেন এটা তাঁর ব্যাপার। তাঁর যেটা ভাল মনে হয়েছে সেটাই করেছেন।" এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়কে পাশে বসিয়ে অভিযোগ করেন, "বিজেপিতে ওঁকে ভয় দেখিয়ে, ধমকে-চমকে, এজেন্সির ভয় দেখিয়ে নিয়েছিল। ওর শরীর খারাপ হচ্ছিল ওখানে।"
আরও পড়ুন- নির্বাচনে মুকুল আমাদের দল বিরোধী কথা বলেনি: মমতা
এর উত্তরে পাল্টা জয়প্রকাশ বলেছেন, "মুকুলবাবু কি বাচ্চা ছেলে, যে ওনাকে ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে আটকে রাখতে হবে! এমন কথা বলে তো মাননীয়া মুকুল রায়কেই অসম্মান করলেন। মুকুল রায় বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা হিসাবে ছিলেন। তাঁকে ভয় দেখিয়ে রাখার কথা মানে তো তাঁকে অপমান করা, ছোট করা।" বিজেপিতে মুকুলের অসুস্থ হওয়া নিয়ে জয়প্রকাশের পাল্টা খোঁচা, "আমরা তো দেখেছি, সিবিআই গ্রেফতার করলে কীভাবে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা অসুস্থ হয়ে যান। হাসপাতালে ভর্তি হন। সেটারই কথা বলছিলেন মনে হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
আরও পড়ুন- ‘শুভেন্দুর থেকে মুকুল ভালো’, নন্দীগ্রামেই বড় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা
এদিন মুকুলের যোগদানের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওল্ড ইজ অলওয়েজ গোল্ড। কোনওদিন আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেনি। ও কোনওদিন আমাদের দল নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেনি। কিন্তু যাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলেছিল, যাঁরা দলের সঙ্গে ভোটের আগে গদ্দারি করেছিল তাঁদের দলে নেব না। কিন্তু বিজেপি থেকে আরও মানুষ আসবে, সময়ে জানতে পারবেন।” মুকুল রায় বলেন, “নতুনদের সঙ্গে দেখা হয়ে ভাল লাগছে। বাংলা আবার তাঁর নিজের জায়গায় ফিরবে। আর বাংলাকে নেতৃত্ব দেবেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন