Advertisment

মুকুলের ফোন শতাব্দীকে, ফাঁস করলেন কুণাল

বীরভূমের তৃণমূল সাংসদকে দলে নিতে যে বিজেপি মরিয়া এদিন কুণাল ঘোষই তা স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

'বেসুরো' সাংসদ শতাব্দী রায়ের মান ভঞ্জনে মরিয়া তৃণমূল। বৃহস্পতিবার শতাব্দীর ফ্যানক্লাবের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে নানা দলত্যাগের জল্পনা তৈরি হয়। শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে সেই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পায়। এরপরই বীরভূমেক দলীয় সাংসদকে দলে রাখতে আসরে নামে জোড়া-ফুল নেতৃত্ব। বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় শতাব্দীর। সাংসদের বাড়িতে যান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

Advertisment

সাংসদের সঙ্গে ঘন্টাখানের বৈঠক শেষ তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, 'শতাব্দী রায় আমার পুরনো বন্ধু, ওঁর সঙ্গে গল্প করেছি।' দলের প্রতি ক্ষুব্ধ শতাব্দী রায়। এ প্রসঙ্গে কোনও কথা হয়ননি? জবাবে কুণাল বলেন, 'দুই রাজনৈতিক কর্মীর মধ্যে যখন গল্প হয় সেখানে রাজনৈতিক আলোচনা থাকেই।'

শতাব্দী নিজে জানিয়েছেন, দিল্লিতে গিয়ে এবার অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে কী এবার তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম পতাকা হাতে তুলবেন বীরভূমের সাংসদ। শতাব্দী অবশ্য তা স্পষ্ট করেননি। তবে, শাহী সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেছেন, 'পরিচিত মানুষদের সঙ্গে দেখা হতেই পারে। তবে সেটাকে বৈঠক বলাটা ভুল হবে। আমি বলছি না যে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবোই। তবে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না। ওনার সঙ্গে মিটিং করতেই যাচ্ছি এমনটা নয়। দেখা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।'

আরও পড়ুন- দিল্লিতে গিয়ে শাহী সাক্ষাতের সম্ভাবনা? ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শতাব্দীর

শতাব্দী রায় 'বেসুরো' হতেই অবশ্য তাঁকে দলে আগেভাগেই স্বাগত জানিয়ে রেখেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বীরভূমের তৃণমূল সাংসদকে দলে নিতে যে বিজেপি মরিয়া এদিন কুণাল ঘোষের মন্তব্যেও তা স্পষ্ট হয়েছে। সাংসদের সঙ্গে 'গল্প' শেষে তৃণমূল মুখপাত্র বলেছেন, 'আমার সামনেই শতাব্দীর কাছে মুকুল রায়ের ফোন এসেছিল।'

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু থেকে দলীয় সাংসদ সুনীল মণ্ডল দল বদল করে এখন বিজেপিতে। ইতিমধ্যেই জোড়াফুল, কংগ্রেস ও বাম শিবির ছেড়ে বিজেপিতে নাম তুলেছেন মোট ১০ বিধায়ক। ভয় দেখিয়েই এই দল বদল করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে রাজ্যের শাসক শিবির। এদিন মুকুল রায়ের ফোনের অবতারণা করে তৃণমূলের অভিযোগের সপক্ষে কুণাল ঘোষ জোরাল যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

শুক্রবার কী বলেছেন শতাব্দী?

কেন দলের প্রতিক্ষোভ রয়েছে তাঁর? শুক্রবার একাধিক সংবাদ মাধ্যমে সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, ‘সাংসদ হওয়ার পর আমি অধিকাংশ সময় এলাকার মানুষের সঙ্গে কাটিয়েছি। কিন্তু গত ২ বছর ধরে মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইলেও পারছি না। আমি প্রায় এলাকায় যাইনি। আমি কার জন্য যেতে পারছি না? মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে। তাই তাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া আমার দায়িত্ব। তারা আমাকে প্রশ্ন করছে, অপনি কি রাজনীতি ছেড়ে দিলেন?’

কেন ক্ষোভের কথা দলনেত্রীকে জানানো যাচ্ছে না? উত্তরে শতাব্দী রায়ের মন্তব্য, ‘দলনেত্রীকে ক্ষোভের কথা জানাইনি কারণ, অনেক সময় মনে হয় জানানো যায় না। অনেক সময় মনে হয় জানিয়ে লাভ নেই। অনেক সময় মনে হয় কাকে জানাবো।’ তারাপীঠ উন্নয়ন পর্যদ থেকেও তিনি দু’বার ইস্তফা দিলেও তা গ্রহন করা হয়নি বলে অভিযোগ সাংসদের।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc bjp mukul roy satabdi roy Kunal Ghosh
Advertisment