লাভপুরে সিপিএম সমর্থক তিন ভাই খুনের মামলায় মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ সিউড়ি থানার পুলিশের। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই চলে এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। সম্প্রতি দুবরাজপুর থানায় মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে সেদিনের জেরায় ঠিক কোন কোন তথ্য উঠে এসেছে সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি পুলিশের তরফে। এদিন সিউড়ি থানায় যাওয়ার আগে তারাপীঠ মন্দিরে পুজোও দিয়ে যান মুকুল রায়।
আরও পড়ুন: ‘আজাদী’ স্লোগানে এবার কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, লাভপুরের এই খুনের মামলায় মুকুল রায়ের পাশপাশি প্রথম থেকেই অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়া মণিরুল ইসলামের নাম। এই মামলার প্রথম চার্জশিটে মুকুলের নাম না থাকলেও পরবর্তীতে বিশেষ তদন্তকারী দলের চার্জশিটে রাখা হয় মুকুলের নাম। ২০১৯ অক্টোবরে বোলপুর কোর্টে সেই চার্জশিট পেশ করা হয়। তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ডের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। সেই চার্জশিট জমা দেওয়ার পরই আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুকুল। কিন্তু বিজেপি নেতার ‘আবেদন ত্রুটিপূর্ণ’ হওয়ায় সেই আর্জি কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করেছিল বলে জানা যায়। আগাম জামিন মঞ্জুর না হলেও হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৫ সপ্তাহের রক্ষা কবচ দেয় এই বিজেপি নেতাকে।
আরও পড়ুন: অর্জুন পুত্রকে লক্ষ্য করে বোমা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে থানায় বিজেপি
তবে আদালতের নির্দেশে বলা হয়, লাভপুর, বোলপুর এবং শান্তিনিকেতন এই তিন থানা এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না মুকুল রায়। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। সেই নির্দেশের পরই ২ জানুয়ারির পর ফের আজ মুকুল রায়কে সিউড়ি থানায় ডেকে পাঠানো হয়।