লোকসভা অধিবেশন চলাকালীন নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যে উত্তাল হল দিল্লির দরবার। লোকসভায় কংগ্রেসকে নিশানায় রেখে মোদী বলেন, "তাঁর সরকার কংগ্রেসের পথে চললে ৩৭০ ধারা রদ থেকে সিএএ, কোনও আইনই কার্যকর করা সম্ভব হত না।" এমনকী দেশে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে কংগ্রেস, এমন আক্রমণও করলেন নমো। সিএএ বিরোধী সুর চড়ানো কংগ্রেসকে নিশানায় রেখেই মোদী বলেন, 'কংগ্রেসের জন্য মুসলিমরা ভোটব্যাঙ্ক, আমাদের জন্য তাঁরা ভারতীয়'।
আরও পড়ুন: ‘কিছু টিউবলাইট এমনই হয়’, রাহুলকে খোঁচা মোদীর
প্রসঙ্গত নয়া নাগরিকত্ব বিল পাস হতেই দেশব্যাপী বিক্ষোভে নামে কংগ্রেস-সহ দেশের বিরোধী দলগুলি। লোকসভা থেকে সেই বিরোধী সুরের প্রত্যুত্তরে মোদীর বক্তব্য, "কংগ্রেস চিরকালীন ভারতীয় মুসলিমদের কেবল মুসলিম হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছে। কিন্তু এনডিএ সরকার তাঁদের ভারতীয় হিসেবেই বিবেচনা করে।" এমনকী ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে জারি করা 'জরুরি অবস্থার' প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, "যে সময় সংবিধানকে বাঁচানোর কথা ছিল, সেই জরুরি অবস্থায় তারা কীভাবে তাঁর সম্মান অবহেলা করেছে।" এরপরই নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি 'স্মরণ' করিয়ে মোদী বলেন, 'নেহেরু পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। তার মানে তিনি কি সাম্প্রদায়িক ছিলেন'?
আরও পড়ুন: নির্ভয়াকাণ্ডে থমকে ফাঁসি, কাল কেন্দ্রের আবেদনের সুপ্রিম শুনানি
তবে মোদীর এই মন্তব্যর পর অবশ্য চুপ থাকেনি বিরোধী শিবিরও। মোদীর বক্তব্যর মাঝেই ঝড় তুলে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরিরা বলতে থাকেন, 'মহাত্মা গান্ধী অমর রহে। এ তো সবে ট্রেলার দেখাচ্ছেন উনি।" যদিও 'হাত' শিবিরের এ কথা গায়ে মাখেননি মোদী। বরং কিছুটা শান্ত গলাতেই উত্তর দিয়ে বলেন, "আপনার জন্য মহাত্মা গান্ধী ট্রেলার হতে পারে কিন্তু আমাদের জন্য গান্ধীজি জিন্দেগি।"
Read the full story in English