দলত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যেয়র বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ইঙ্গিতেই তা স্পষ্ট।
বনদফতরের মন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আমলেই বন দফতরে বন-সহায়ক পদে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার আলিপুরদপুয়ারের কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেছেন, 'বন দফতরের বন-সহায়ক পদে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। অনেক অভিযোগ পেয়েছি। একজন সেসব করে বিজেপিতে পালিয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার তা নিয়ে তদন্ত করছে।'
দু'সপ্তাহও হয়নি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে 'অসৌজন্যে'র অভিযোগ তুলে তৃণমূলও ছেড়েছেন তিনি। আপাতত তাঁর ঠাঁই বিজেপিতে। গত রবিবারই ডুমুরজলার সভা থেকে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন রাজীববাবু। মঙ্গলবার বারুইপুরের সভাতেও একই ইস্যুতে প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘সৎ কর্মী নয় বরং দুর্নীতিপরায়ণ নেতা কিনছে বিজেপি’, আলিপুরদুয়ারে সরব মমতা
এরপরই রাজীববাবুর মন্ত্রিত্ব থাকাকালীন বনদফতরের দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত 'ক্লিনশিট' রাজীবেবর দফতরে কীভাবে এই দুর্নীতি হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা।
এদিনও দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তিনি। তাঁদের 'লোভী-ভোগী' বলে নিন্দা করেন। বলেন, 'লোভী-ভোগীদের দল থেকে তাড়ানোর আগেই চলে গিয়েছে। তৃণমূলে থাকতে হলে লোভের কোনও জায়গা নেই। যারা যেতে চাইছেন ওয়াশিং মেশিন বিজেপিতে তারা এখনই যেতে পারেন। দরজা খোলা রয়েছে।' এই প্রসঙ্গেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বন দফতরের দুর্নীতির অভইযোগ তুলে ধরেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন