আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করেন লুইজিনহো ফেলেইরো। বেশ কিছুক্ষণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্য সচিবালয়ে এই ধরণের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে সরব হল বিজেপি। প্রশ্ন তুলল মুখ্যসচিব ও কমিশনের ভূমিকা নিয়েও।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বুধবার টুইটে লিখেছেন, 'তৃণমূলের নবান্নকে দলীয় দফতরে মতো করে ব্যবহার করছে। রাজ্যের সচিবালয়ে বসে ভবানীপুরের প্রার্থী আগামিকালের ভোট নিয়ে গোয়ার তৃণমূলে যোগদানকারীর সঙ্গে আলোচনা করছেন? নিয়মিত প্রশাসনিক বিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্য সচিব ওখানে বসে তৃণমূলের প্যাডে নিয়োগপত্র টাইপ করছেন কিনা সেটাই কৌতুহলের। নির্বাচন কমিশন কী ঘুমোচ্ছে?'
অর্থাৎ, নবান্নে তৃণমূলে যোগকারীদের সঙ্গে মমতার বৈঠক একদিকে প্রসাসনিক বিধিবঙ্গ, অন্যদিকে ভোটের আবহে এই বৈঠক নির্বাচনী বিধিভঙ্গ বলেও অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।
বৃহস্পতিবারের ভোট ঘোষণার সময় থেকে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পদ্ম শিবির। বাকি চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন দিন নিয়েও (৩০ অক্টোবর) প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এমনকী ভবানীপুরের ভোটে কমিশনের রাশ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে ভোটের কয়েক ঘন্টা আগে শুভেন্দুর কমিশনের প্রতি শুভেন্দুর তোপ রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উপনির্বাচনের প্রয়োজনিয়তার কথা কমিশনের কাছে তুলে ধরতে সাংবিধানিক সংকটের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। যা নিয়ে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। মুখ্যসচিবের প্রশাসনিক সর্বোচ্চ পদাধিকারী কী এই কথা কমিশনকে জানাতে পারেন? প্রস্ন তুলেছেন বিচারপতি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন