Advertisment

প্রার্থী প্রত্যাহার বিজেপির, কংগ্রেসের নানা পাটোলে মহারাষ্ট্রের স্পিকার নির্বাচিত

রবিবার সকাল ১০টায় কাথোরের নাম তুলে নেওয়া হচ্ছে বলা জানান বিজেপির পরিষদীয় নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কংগ্রেসের নানা পাটোলে মহারাষ্ট্রের স্পিকার নির্বাচিত

স্পিকার নির্বাচন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিল বিজেপি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হলেন শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস প্রার্থী নানা পাটোলে।

Advertisment

এর আগে মুরাদের বিধায়ক কিষাণ কাথোরেকে স্পিকার পদের প্রার্থী বলে ঘোষণা করে বিজেপি। কিন্তু, রবিবার সকাল ১০টায় কাথোরের নাম তুলে নেওয়া হচ্ছে বলা জানান বিজেপির পরিষদীয় নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তিনি বলেন, 'সর্বদল বৈঠকে অন্যান্য দলের আবেদন ছিল স্পিকার সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হওয়া উচিত। এটাই রীতি। আমরা সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রার্থী প্রত্যাহার করছি।'

আরও পড়ুন: শিবসেনা কি বদলে যাচ্ছে?

মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে পাটোলেকে স্পিকারের চেয়ার পর্যন্ত এগিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পাটোলে কৃষক পরিবার থেকে উটে এসেছেন। আমি আত্মবিশ্বাসী যে উনি সবার ন্যায় সাধন করবেন।' স্পিকার বিরোধী দলনেতার নাম ঘোষণা করবেন। তবে আজ রবিবার তা হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ১৬৯ বিধায়কের সমর্থনে আস্থা ভোটে জয় ঠাকরে সরকারের

কংগ্রেসের টিকিটে বিদর্ভের সাকোলি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন নানা পাটোলে। তবে একসময় কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে চলে গিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে এনসিপির প্রফুল্ল প্যাটেলের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন তিনি। কিন্তু মোদী এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে মত বিরোধের কারণে তিনি ২০১৭ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে আসেন। তিনিই প্রথম সাংসদ যিনি বিজেপিতে থেকে মোদীর সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। ১৯৯৯ ও ২০০৪ সালে সাকোলি থেকে কংগ্রেসে বিধায়ক ছিলেন নানা পাটোলে। এবছর লোকসভা ভোটে নাগপুর থেকে নিতিন গড়কড়ির বিরুদ্ধে লড়াই করে পরাজিত হন তিনি। ২০১৯ সালে বিধানসবা ভোটে বিদর্ভ থেকে লড়ে হারান ফড়নবীশের ঘনিষ্ট প্রিয়াঙ্কা ফুকেকে।

আরও পড়ুন: ‘বিরাট ভুল করেছে বিজেপি’, গেরুয়া সঙ্গ ছেড়ে শিবসেনার আশ্রয়ে যেতে পারেন বর্ষীয়ান নেতা

আগাড়ি জোটের তিন শরিকের বৈঠকেই স্থির হয়েছিল উপ-মুখ্যমন্ত্রী হবেন এনসিপি থেকে ও স্পিকার কংগ্রেস থেকে। পাঁচ বছরের জন্যই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। কিন্তু, সরকার গঠনের পর শরিকদের বৈঠকে বেঁকে বসেছে কংগ্রেস। উপ-মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ আড়াই বছর করে ভাগের পক্ষপাতি হাত শিবির। এই নিয়ে রীতিমত দাবি জানাতে শুরু করেছেন দলের নেতারা। তবে এনসিপির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত লংঘন করা হবে না।

এদিকে এনসিপির পক্ষ থেকে কে হবেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী? তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি শরদ পাওয়ার। দলীয় সূত্রে খবর, জয়ন্ত পাটিল বা অজিত পাওয়ারের মধ্যে কেই এই পদ পেতে পারেন। তবে বিজেপিকে সমর্থন করায় ওই পদে বসালে দলের ভাবমূর্তি নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে কিনা তা নিয়ে সতর্ক পাওয়ার সাহেব। জোটের জট কাটিয়ে আপাতত দলের অন্দরের বিরোধ মেটাতে তৎপর শরদ পাওয়ার। তাই আপাতত এনিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না জাতীয়বাদী কংগ্রেসের কোন নেতাই।

প্রসঙ্গত, শনিবারই ১৬৯ বিধায়কের সমর্থনে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থা ভোটে সহজ জয় পায় উদ্ধব ঠাকরে সরকার।

Read the full story in English

bjp CONGRESS shiv sena Maharashtra ncp
Advertisment