/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/mamata-suvendu-highcourt.jpg)
নন্দীগ্রামের ভোট সংক্রান্ত মামলা এবার গড়াল শীর্ষ আদালতেও।
পিছিয়ে গেল নন্দীগ্রামের বিধানসভার ভোটের ফলাফল সংক্রান্ত মামলার শুনানি। আগামী বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। আবেদনকারী সশরীরে এজলাসে না থাকার কারণেই এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। মামলার আদেনকারী মুখ্যমন্ত্রী শুনানির সময় এদিন হাজির থাকতে পারবেন কিনা তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান বিচারপতি চন্দ। জবাবে মমতার আইনজীবী জানান, নিয়ম মেনেই চলা হবে। তবে স্পষ্ট হল যে, এ দিন মামলাটি গৃহীত হয়েছে।
নন্দীগ্রামে ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন তৃণমূল নেত্রী। অবশ্য প্রথমে ১২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন বলে খবর রয়ে যায়। পরে কমিশন ঘোষণা করে, প্রায় ১৯০০ ভোটে জিতেছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই ভোটের দিন ও গনণার সময় কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। পুনর্গণনার দাবি জানান মমতাও তাঁর দলের সহকর্মীরা। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার তা নাকচ করে দেন। ফলে রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তৃণমূলের তরফে।
আরও পড়ুন-মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ! তৃণমূলে যোগের পর প্রথম টুইট মুকুলের
এরপরই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করে রাজ্যের শাসক শিবির। নিয়ম অনুসারে ভোটের ফল নিয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ৪৫ দিনের মধ্যে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করতে হয়৷ রাজ্যে ভোটের ফল প্রকাশ হয় ২ মে ৷ সেই মতো ৪৫ দিনের মধ্যেই হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, মামলাটি যেহেতু নির্বাচন সংক্রান্ত, তাই মামলাকারীকে শুনানির সময়ে উপস্থিত থাকতে হয়। না থাকতে পারলে আদালতকে তার কারণ দর্শাতে হয়। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর তরফে এ দিন সেই পদক্ষেপ করা হয়নি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যেয়র আইনজীবী নন্দীগ্রামের গোটা নির্বাচনী পদ্ধতিকে বাতিল ঘোষণা করে পুনর্নির্বাচনের আবেদন জানান আদালতে। তবে, সঠিক প্রক্রিয়া মানার জন্য বিচারপতি কৌশিক চন্দ মামলাকারীকে এক সপ্তাহ সময় দেন বলে খবর। এই সময়কালেই মামলায় যুক্ত সব পক্ষকে আদালতে আবেদনের প্রতিলিপি পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন