সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য সংক্রান্ত সাম্প্রতিক ঘটনার বলার জন্য শনিবার তিন জন মুখ্যমন্ত্রী-সহ ১৩টি বিরোধী দলের নেতারা একত্রিত হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, যাঁরা ধর্মান্ধতা প্রচার করে, কথা এবং কাজের মাধ্যমে সমাজকে উসকে দেয়, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকার নীরব। বদলে এই সব অভিযুক্ত সশস্ত্র লোকজন বিলাসিতা ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ভোগ করেন।
এই নিয়ে যৌথভাবে বিবৃতি দেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান তেজস্বী যাদব ও এনসিপি প্রধান ফারুক আবদুল্লা।
বিবৃতিতে সই করেছেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, ফরওয়ার্ড ব্লকের দেবব্রত বিশ্বাস, আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য, মুসলিম লিগের পিকে কুনহালিকুট্টি, সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। যেদিন সোনিয়া গান্ধী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি নিবন্ধে মেরুকরণের রাজনীতি ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন, ঠিক সেই দিনই এল এই বিবৃতি।
আরও পড়ুন-বিদ্যুৎই পুঁজি, পঞ্জাবের পর প্রতিবেশী রাজ্যেও বড় অঘটনের আশায় আপ
কংগ্রেস সভানেত্রীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ভারতের বৈচিত্র্য নিয়ে হামেশাই নানা কথা বলেন। কিন্তু, নির্মম বাস্তবতা হল, তাঁর শাসনকালে বৈচিত্র্যের সমৃদ্ধি যা এই সমাজের প্রতীক এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী এই সমাজকে সমৃদ্ধ করেছে, সেই বৈচিত্র্যকেই বিদেভ ঘটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। আরও খারাপ ভাবে বললে, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যকে কবরে পাঠানো হয়েছে।
কংগ্রেস সভানেত্রীর সেই সুর বক্তব্যে বজায় রেখে বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেন, যেভাবে খাদ্য, পোশাক, বিশ্বাস, উত্সব এবং ভাষা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আঘাত করা হয়েছে, তাতে তাঁরা মর্মাহত। শুধু তাই নয়, সমাজের মেরুকরণ ঘটাতে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার প্রশাসনকে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে।
এই পরিস্থিতিতে জনগণের কাছে জনগণের কাছে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান বিরোধী নেতারা। পাশাপাশি তাঁরা সাম্প্রদায়িক হিংসা যাঁরা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের কঠোর শাস্তিও দাবি করেন। বিরোধী নেতাদের অভিযোগ, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সশস্ত্র অপরাধীরা যে বিলাসিতা ভোগ করছে, প্রধানমন্ত্রীর নীরবতাই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
Read story in English