বিহার নির্বাচনের মুখেই আসন সমঝোতা নিয়ে মতানৈক্য বিরোধী মহাজোটে। প্রধান বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেসের মধ্যে আসনরফা নিয়ে বেঁকে বসেছেন লালু প্রসাদ যাদব। আরজেডি সুপ্রিমো লালুর সাফ নির্দেশ ছেলে তেজস্বীকে, ৬০টির বেশি আসন ছাড়া যাবে না কংগ্রেসকে। যা নিয়ে দুই দলের মধ্যে মতানৈক্য বাড়ছে। কারণ, কংগ্রেস ৭০টির মতো আসনে প্রার্থী দিতে চায়। মহাজোটের আরেক দল সিপিএমকে (লিবারেশন) ১৫টি আসনের প্রস্তাব দিয়েছে আরজেডি। যদিও তারা সেই প্রস্তাব রাজি না হয়ে ৩০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে।
লিবারেশনের সম্পাদক কুমার পারভেজ জানিয়েছেন, "আরজেডির দয়ায় আমরা ভোটে লড়ব না। ওদের প্রস্তাব রাজি নয় দল। এবার ওদের কোর্টে বল। ওরা কী করবে ঠিক করুক। আমরা প্রথম ধাপে ৩০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছি।" এদিকে, লালু শিবিরে কংগ্রেসের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ত্রিশঙ্কু ফলাফল হলে কংগ্রেসের বিধায়করা নীতীশ-বিজেপির এনডিএ শিবিরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা আরজেডির শীর্ষ নেতৃত্বের। তাই বেশি সংখ্যক আসনে লড়তে চায় তেজস্বী যাদবরা। কারণ, এরকম ক্ষেত্রে দলের বিধায়করা অধিকাংশ সময়ে জোট ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছেন। কংগ্রেস নীতীশের সঙ্গে ভোট পরবর্তী জোট করতে পারে, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না আরজেডি।
আরও পড়ুন গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর, টুইটে বার্তা মমতার
এক শীর্ষ আরজেডি নেতার বক্তব্য, দল ১৫০টির বেশি আসনে লড়তে চাইছে এবার। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও তিনটি বাম দলকে সবমিলিয়ে ২৫টি আসন ছাড়তে রাজি। সিপিআই এবং সিপিএম আরজেডির প্রস্তাবে রাজি হলেও বেঁকে বসেছে লিবারেশন। ওদের ২০টির বেশি আসন চাই। এই ক্ষেত্রে জোট ধরে রাখতে শরিকদের সঙ্গে বেশি আপসে যাবে না আরজেডি, জানিয়েছেন ওই শীর্ষ নেতা। আরেক নেতা বলেছেন, গত লোকসভা নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়েছে দল। সেবার শরিক দলগুলি আরজেডির ভোট বাড়াতে পারেনি। যার ফলে লোকসভায় ঝুলি শূন্য ছিল লালুর দলের। তাই এবার বোঝা বাড়াতে চায় না দল। নিজেদের শক্তির উপরই ভরসা রাখছেন তেজস্বীরা। বর্তমানে বিহারে আরজেডির বিধায়ক সংখ্যা ৮১।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন