পাঞ্জাবে নেতৃত্বের বদলের পর কি এবার রাজস্থানের পালা? জল্পনা উস্কে রাজস্থানের একদা বিদ্রোহী নেতা শচীন পাইলট গত শুক্রবার দেখা করেছেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। পাঞ্জাবে যখন ডামাডোল চলছে, ক্যাপ্টেনের উপর দলীয় নেতা-মন্ত্রীদের ক্ষোভ বাড়ছে, সেইসময়ই কার্যত নিঃশব্দেই বৈঠক করেন রাহুল এবং পাইলট। অনেক দিন হল রাজস্থানে অশোক গেহলট মন্ত্রিসভার রদবদল ঝুলে রয়েছে। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিচার করেই মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে সূত্রের খবর।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজস্থানের পর্যবেক্ষক অজয় মাকেন রাজ্যে একাধিক বার গিয়ে বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মন্ত্রিসভার রদবদল এবং ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের মন্ত্রিসভা, সরকারি নিগমে অন্তর্ভু্ক্তির জন্য বারবার দরবার করেছেন পাইলট। রাজ্য নেতৃত্ব থেকে হাইকম্যান্ড, কোনও দরজাই ঘোরা বাকি নেই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু মাকেনের একাধিক বার সফরের পরও মন্ত্রিসভার রদবদল হয়নি। সূত্রের খবর, পাইলটকে রদবদল নিয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। পাঞ্জাবের মতো রাজস্থানেও দলীয় নেতা-বিধায়করা চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করুক।
আরও পড়ুন ‘২বার রাজ্যসভার প্রস্তাব ফিরিয়েছি’, করফাঁকি অভিযোগের পাল্টা বিস্ফোরক সোনু সুদ
শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা অবশ্য বলছে, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের পরিস্থিতি পাঞ্জাবের থেকে আলাদা। গেহলট এবং ভূপেশ বাঘেলের সঙ্গে সিংহভাগ দলীয় বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু দুই রাজ্যেরই বিদ্রোহী শিবির চাইছে, হাইকম্যান্ড দুই মুখ্যমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়াক। যদিও গেহলট মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে হাইকম্যান্ডের চাপের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি এস সিং দেও দিল্লিতে গিয়েছেন। ব্যক্তিগত কাজে রাজধানী বলে এড়িয়ে গেলেও, সূত্রের খবর হাইকম্যান্ডের দ্বারস্থ হতেই দিল্লিতে যাওয়া।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন