Project Pegasus: পেগাসাস বিতর্কে সোমবার দিনভর জাতীয় রাজনীতি উত্তাল। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে শোয়ার ঘরে নজরদারির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। অন্য বিরোধী দলগুলিও নেতা-সাংবাদিকদের ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে সরব। এবার বিতর্কে জল ঢালতে কোমর বেঁধে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। শাহ এবং কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই রিপোর্টকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছেন।
সোমবার শাহের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। যাতে বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, "খুব সুন্দর করে সাজানো ছক। গতকাল সন্ধে থেকে এই রিপোর্ট নিয়ে সীমিত কিছু শ্রেণির লোকজন লাফালাফি করছে। উদ্দেশ্য একটাই, যেনতেন প্রকারেণ ভারতকে অসম্মানিত করা বিশ্বের দরবারে। সেই পুরনো ছকে ভারতের উন্নয়নমূলক কাজকর্মকে ব্যাহত করে দেশকে অপমানিত করা।"
নিজের ওয়েবসাইটে সেই বিবৃতিতে শাহ আরও বলেছেন, "অনেকেই আমার সঙ্গে একটা পুরনো কথা জুড়ে দেন। কিন্তু আজ নিছক মজা নয়, সিরিয়াসলি বলতে চাই, যে সময়ে এই সব হচ্ছে, বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে, তাতে বলতেই হচ্ছে, আপ ক্রোনোলজি সমঝিয়ে (আপনি ক্রোনোলজি বুঝুন)। এই রিপোর্ট হল বাধা সৃষ্টিকারীদের জন্য সমগোত্রীয়দের উপহার। বাধা সৃষ্টিকারীরা বিশ্বজুড়ে ভারতের অগ্রগতি দেখতে পারে না। আর তাঁদেরই সমগোত্রীয় কিছু শ্রেণির লোক রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে দেশের মধ্যেই ফন্দি এঁটে ভারতের অগ্রগতি চায় না। দেশবাসী এই ক্রোনোলজি ভাল করে বোঝে।"
আরও পড়ুন পেগাসাস স্পাইওয়্যার: অভিষেক-পিকের ফোনেও নজরদারি! তালিকায় আরও হেভিওয়েট
এদিকে, ভারতে অবৈধ নজরদারি সম্ভব নয়। পেগাসাস-কাণ্ডে সংসদে এভাবেই সরব হলেন তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।সোমবার সকাল থেকেই এই ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু এদিন লোকসভায় বলতে উঠে মন্ত্রীর দাবি, ‘এই ঘটনা ভারতীয় গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বদনাম করার উদ্দেশ্য।‘
আরও পড়ুন ‘ফোনে নজরদারি-কাণ্ড গণতন্ত্রকে কলুষিত করার চেষ্টা’, অভিযোগ উড়িয়ে সরব তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী
সংসদে তিনি বলেন, ‘রবিবার রাতে এক ওয়েব পোর্টাল চমকপ্রদ একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। একাধিক অভিযোগ সেই প্রতিবেদনে তোলা হয়েছে। এই প্রতিবেদন সংসদের বাদল অধিবেশনের ঠিক একদিন আগে প্রকাশিত। মোটেও কাকতালীয় নয় ব্যাপার নয়। এর আগেও হোয়াটসঅ্যাপের নথি চুরিতে পেগাসাসের ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই প্রতিবেদনের কোনও ভিত্তি ছিল না এবং সবপক্ষই সেই অভিযোগ প্রত্যাখান করেছিল। ১৮ জুলাই, ২০২১-এর এই প্রেস বিবৃতিও ভারতের গণতন্ত্র এবং তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বদনাম করার চক্রান্ত।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন