বিহার বিধানসভা ও অন্যান্য রাজ্যে উপনির্বাচনে জয়ে ফের উজ্জীবিত বিজেপি। করোনা অতিমারী, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিকদের যন্ত্রণা, আর্থিক মন্দা, বেকারত্ব এসব কিছু ইস্যুকে হারিয়ে দিয়ে ভোটবাক্সে পদ্মেরই জয়জয়কার। এবার আগামী বছর মিশন বাংলা এবং আসাম। আসামের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, "ব্র্যান্ড মোদী এখন আরও শক্তিশালী। বিহার এবং অন্য রাজ্যগুলির ফলাফল বাংলা ও আসামের ভোটে বড় প্রভাব ফেলবে বলে দাবি হিমন্তের।"
শনিবার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে হিমন্ত বলেছেন, আসামে বাংলাদেশ থেকে মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দেবে না, এটা নিশ্চিত। তাই ওদের নিয়ে ভাবছেও না বিজেপি। তবে উন্নয়নের কাজ সরকার চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, "আসামে দুই সংস্কৃতি এবং উন্নয়নের উপর ভোটের লড়াই হবে। বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমরা আসামে নয়া সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। মিঞা সংস্কৃতি, মিঞা কবিতা, মিঞা স্কুল প্রভৃতি। এখন হিন্দু বনাম মুসলিম লড়াই নয়, মিঞা সংস্কৃতির সঙ্গে আসামের আদি সংস্কৃতির লড়াই। কিন্তু আমাদের আসামের অকৃত্রিম সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে। সংস্কৃতির লড়াইয়ে ধর্মীয় ভেদাভেদও উহ্য হয়ে গিয়েছে।"
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণ চেয়ে মোদীকে চিঠি, প্রাক্তন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করল বিজেপি
হিমন্ত বলেছেন, অহমিয়া মুসলিমরা বিজেপির পক্ষে। বাঙালি মুসলিমরাই নাকি যত নষ্টের গোড়া। স্থানীয় ভাষায়, মিঞাদের নিয়ে চিন্তিত বিজেপি। এআইএমআইএমের মতো দলগুলি আসামে সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে প্রচার করে এই মিঞাদের উসকানি দিচ্ছে। বিহারের মতো এখানেও পরিস্থিতি তৈরি করছে। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় মিমের দাপট বাড়ার জন্য বিজেপির মাথাব্যথা বেড়েছে। আসামে প্রায় ৩২ শতাংশ মুসলিম ভোট। হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, "আমরা ওই ৩২ শতাংশ থেকে কোনও সমর্থন পাব না। কিন্তু অহমিয়া মুসলিমরা আমাদেরই ভোট দেবে। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দেবে না। তাই ওদের নিয়ে চিন্তাও করছি না আমরা। ওরা এআইইউডিএফকে ভোট দেবে। তাই ওদেরই চিন্তা রয়েছে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন