ওমিক্রনই শেষ না। করোনার আরও সংক্রমণ আছে। সেগুলো ভবিষ্যতে ব্যাপক হারে ছড়াতে পারে। এমনই সতর্কবাণী শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেই জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, যাঁরা এখনও করোনার ভ্যাকসিন পায়নি, তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। শিশুদেরও ধীরে ধীরে সেই তালিকায় আনা হচ্ছে। এরমধ্যে ১৫ থেকে ১৮-র মধ্যে থাকা তরুণদের ৭০ শতাংশের প্রথম ডোজ হয়ে গেছে। এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। এই বয়সিদের যাঁরা এখনও করোনা টিকা নেননি। তাঁদেরও অবিলম্বে টিকা নেওয়ার জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছেন।
মান্ডব্য বলেছেন, 'ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি চলছে। তরুণ ভারত এই কর্মসূচিকে আরও জোরদার করছে। ১৫ থেকে ১৮-র মধ্যের তরুণদের ৭০ শতাংশেরও বেশি করোনার প্রথম ডোজ নিয়ে নিয়েছে। বাকিদেরও অবিলম্বে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে বলব।' স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, দেশের প্রায় দেড় কোটি (১.৪৭ কোটি) কিশোর ইতিমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ডোজও পেয়ে গিয়েছে।
বর্তমানে দেশে দ্রুতগতিতে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৪৯ লক্ষ ১৬ হাজার জন। দেশে ভ্যাকসিনের (প্রথম, দ্বিতীয়, বুস্টার) ডোজ সব মিলিয়ে ১৭২ কোটি ৮১ হাজার বার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশের প্রায় সাড়ে সাত (৭.৪) কোটি কিশোর ভ্যাকসিন পেয়েছে। এদের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। গত ৩ জানুয়ারি ১৫ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তার পর মাত্র একমাস পেরিয়েছে। তাতেই এতবড় সাফল্য এসেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।
আরও পড়ুন- সোমবার ভোরের কথা ভেবে রীতিমতো উৎকণ্ঠায় কাটাচ্ছে ইসরো
ইতিমধ্যেই দেশে করোনা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। পাশাপাশি, পাল্লা দিয়েই বাড়ছে সুস্থতা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, এর প্রধান কৃতিত্ব ব্যাপকহারে স্যাম্পেল টেস্ট। সঙ্গে, লাগাতার করোনার টিকা দেওয়ার ফলে দেশে মৃত্যুহার কমে গিয়েছে। তবে, দুটি টিকাই শেষ না। করোনা প্রতিরোধে নির্দিষ্ট সময় বাদে বুস্টার ডোজও জরুরি। এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেই জন্য যাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের আগে দ্বিতীয় ডোজ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে দেশজুড়ে।
Read story in English