কলকাতার সাতটি ভুঁইফোড় সংস্থার কাছ থেকে গত পাঁচ মাসে ৫ কোটি টাকা পেয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাতি। শশীধর মার্ডি দুটি সংস্থার ডিরেক্টরের পদও পেয়েছেন। দ্য সানডে এক্সপ্রেসে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে কন্নড় ভূমে। মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগ চেয়ে ইতিমধ্যেই রবিবার বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর নাতির বিরুদ্ধে। এই বিরাট দুর্নীতির ঘটনায় নীরবতা মুখ্যমন্ত্রীর নির্লজ্জতার পরিচয় দিচ্ছে বলে তোপ কংগ্রেসের।
জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন এই দুর্নীতির বিষয়ে! অবিলম্বে এই দুর্নীতির তদন্ত করুক সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের কোনও বিচারপতি। দুর্নীতি বিরোধী আইনে কেন এফআইআর দায়ের করছে না সরকার। কীসের ভয় মুখ্যমন্ত্রীর? প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর আরও কটাক্ষ, বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করুন মুখ্যমন্ত্রী। নাহলে তাঁকে অপসারণের দাবি তুলেছেন সিংভি। দ্য সানডে এক্সপ্রেসে রবিবার বিস্তারিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, কীভাবে প্রভাব খাটিয়ে বেলগ্রাভিয়া এন্টারপ্রাইজেস প্রাইভেট লিমিটেড এবং ভিএসএস এস্টেটং প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থার অ্যাকাউন্টে কলকাতার সাতটি ভুঁইফোড় সংস্থার তরফে ৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। ওই দুটি সংস্থার ডিরেক্টর শশীধর মার্ডি। যিনি কি না মুখ্যমন্ত্রীর নাতি। কলকাতার প্রত্যেকটি সংস্থার একই ঠিকানা। সংস্থাগুলির রেজিস্ট্রেশন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন ধর্ষণে অভিযুক্তকে ভোটের টিকিট, দলীয় সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তোলায় মহিলাকে মারধর কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের
সেই ঠিকানায় দ্য সানডে এক্সপ্রেসের সাংবাদিকরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সেখান থেকে কোনও সংস্থাই কাজ করে না। একইসঙ্গে বেঙ্গালুরুর একটি ঠিকানায় ভিএসএস এস্টেটস এবং বেলগ্রাভিয়া সংস্থা কাজ করে বলে গত ১৫ জুন জানা গিয়েছে। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কংগ্রেস নেতা সিংভি জানিয়েছেন, অপশাসন এবং দুর্নীতি শুধু হাতবদল হয়। মহাত্মা গান্ধী এমনটাই বলে গিয়েছিলেন। এবং এটাই কর্ণাটক সরকারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে কোপ দাগেন তিনি। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও এই গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে নীরবতার কারণে প্রশ্ন করেছেন।
গত মাসে একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল, এই টাকাগুলো রাজ্যের অনুমতিতে আরসিসিএল নামে একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল ৬৬০ কোটি টাকার সরকারি আবাসন প্রকল্পের জন্য। বেঙ্গালুরুতে সেই আবাসন প্রকল্পের জন্য সেই টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল বলে দ্য সানডে এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন মার্ডি। সেই সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র জমাও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন