/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/08/rahul.jpg)
দিল্লিতে আটক রাহুল সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।
মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে জিএসটি বাড়ানোর প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কংগ্রেস। শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবন অভিযান করে হাত শিবিরের তাবড় নেতৃত্ব। সেই সময়ই বিজয়চকের কাছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, শশী থারুরকে আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, এই মিছিলের অনুমতি ছিল না। এ দিনের অভিযানের সময় বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।
#WATCH | Congress MP Rahul Gandhi detained by police during a protest against the Central government on price rise and unemployment in Delhi pic.twitter.com/TxvJ8BCli9
— ANI (@ANI) August 5, 2022
যদিও কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিং বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, 'মূল্যবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির মতো বিষয়গুলি উত্থাপন করার জন্য সমস্ত কংগ্রেস সাংসদ শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত মিছিল করবেন।' দলের শীর্ষ নেতারা দলের প্রতিবাদের অংশ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবন ঘেরাও করতে প্রস্তুত। যন্তর মন্তর বাদে নয়াদিল্লি জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এবার অলআউট আক্রমণে কংগ্রেস। দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পথে নেমে সোচ্চার হওয়ার ডাক দিয়েছে কংগ্রেসের। সাংবাদিক সম্মেলনে মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করে রাহুল বলেছেন, 'দেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে, প্রায় এক শতাব্দী আগে ভারত ইটের উপর ইট দিয়ে যে গণতন্ত্র তৈরি করেছিল, চোখের সামনেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।'
সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাহুল গান্ধী, অশোক গেহলট, জয়রাম রমেশরা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী কায়দায় সরকার চালানোর অভিযোগ তোলেন রাহুল। হাতে কালো ব্যান্ড বেঁধে প্রতিবাদ জানান সোনিয়া-তনয়। বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি, অভিযোগ রাহুলের। ''প্রতিবাদের সুর একটু চড়া হলেই ইডি লাগিয়ে তা দমনের চেষ্টা মোদী সরকারের'', সোচ্চার রাহুল।
আরও পড়ুন- আজ বিকেলেই বৈঠকে মোদী-মমতা, সন্ধেয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর
রাহুল গান্ধীর দাবি, 'দেশে ৪ জন যা ইচ্ছে তাই করছে। দেশের কোনও প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষ নয়। যা দেখছি তা ভারতীয় গণতন্ত্রের মৃত্যু। সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। দেশজুড়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা হচ্ছে। সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিরোধীরা দেশের আইন ব্যবস্থা, বিচার ব্যাবস্থার ভরসায় লড়ে। কিন্তু বিরোধিতা করলেই তাঁর পিছনে ইডি লাগানো হচ্ছে। যে গণতন্ত্রকে তৈরি করা হয়েছিল তা ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রতিদিন গণতন্ত্রের মৃত্যু হচ্ছে।'
মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারে বিরুদ্ধে এবার দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক কংগ্রেসের। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, জিএসটি-সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভের ডাক। ''এবার ভয় দেখানো যাবে না'', হুংকার রাহুলের। তিনি আরও বলেন, ''যত সত্য বলব, তত আমার উপর আক্রমণ হবে। তবে আমি এই বিষয়টি উপভোগ করি। দেশে গণতন্ত্র এখন স্মৃতি। স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেই তাঁকে নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করা হয়, জেলে দেওয়া হয়, গ্রেফতার করা হয় এবং মারধর করা হয়।''