বিধায়ক ভাঙানোর খেলায় শেষপর্যন্ত বিজেপিকে রুখে দিতে পারলেও পঞ্চায়েত ভোটে ডুবল অশোক গেহলটের তরী। রাজস্থানে বিরাট ধাক্কা খেল কংগ্রেস। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলকে টেক্কা দিল বিরোধী দল বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জেলা পরিষদ, সর্বত্রই গেরুয়া ঝড়। পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি পেয়েছে ১৮৩৩টি আসন, যেখানে কংগ্রেসের ঝুলিতে ১৭১৩টি আসন। জেলা পরিষদে বিজেপি পেয়েছে ২৬৫টি আসন, কংগ্রেস পিছিয়ে রয়েছে ২০১টি আসন জিতে।
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফলের ট্রেন্ডে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু সন্ধের দিকে বদলাতে থাকে চিত্রটা। পরে পদ্মশিবিরের জয়কে ঐতিহাসিক এবং গ্রামীণ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজেপির উত্থান হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কৃষক নীতির জয় হিসাবেই দেখছে একে বিজেপি। যেখানে মঙ্গলবার ভারত বনধকে সমর্থন জানিয়েছিল কংগ্রেস, সেদিনই গ্রামীণ ভোটে ধরাশায়ী হলেন অশোক গেহলট।
আরও পড়ুন “ধনে আর মেথির তফাৎ বলুন আগে”, কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে রাহুলকে তোপ রূপানির
সম্প্রতি পুরভোটে ভাল ফলের রেশ গ্রামীণ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধরে রাখতে আশাবাদী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট। জয়পুর, যোধপুর, কোটার মতো বড় শহরে পুরনিগম ধরে রেখেছিল কংগ্রেস। দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও বিজেপি গ্রামীণ ভোটে দুর্দান্ত ফল করেছে। অন্যতম শরিক দল আরএলপি কৃষি আইন নিয়ে বেসুরো। আরএলপি সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল জোট ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কৃষক বিদ্রোহের জেরে। পঞ্চায়েত ভোটে তাই আলাদাই লড়াই করেছে আরএলপি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন