কর্ণাটকে ঠিকাদার মৃত্যু-কাণ্ডে রাজ রাজ্যনীতি তোলপাড়। শাসক-বিরোধী চাপানউতোর অব্যাহত। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, ঠিকাদারের মৃত্যুর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট দেবে উদুপির পুলিশ। তার পরই সরকার মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু মন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে কংগ্রেসের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কর্ণাটকে।
বহু কংগ্রেস নেতা এমনকী প্রদেশ সভাপতি ডি কে শিবাকুমার এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া-সহ অনেকে এদিন বেঙ্গালুরুতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন অভিযানের সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। তাঁদের দাবি ছিল, অবিলম্বে ঠিকাদারের রহস্যমৃত্যুতে অভিযুক্ত রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর ইস্তফা দিতে হবে। তিনি ঠিকাদার সন্তোষ পাটিলের কাছ থেকে তোলাবাজি এবং মৃত্যুর জন্য দায়ী।
বোম্মাই এদিন বলেন, "গতকালই ময়নাতদন্ত হয়েছে সন্তোষের দেহের। আমরা প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।" এমনকী তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঈশ্বরাপ্পাকে নিয়ে ঘনীভূত বিতর্কের মধ্যে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না। তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্তও রাজ্য নেতৃত্ব নেবে।
আরও পড়ুন সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জেরে ওড়িশায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
মঙ্গলবার সকালে উদুপির একটি হোটেলে ঠিকাদার সন্তোষ পাটিলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন যুবক। কিন্তু তিনি মৃত্যুর আগে ঈশ্বরাপ্পা এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে কাজের টাকা না দেওয়া এবং তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন। উদুপি পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করেছে। তাতে মন্ত্রী-সহ তিনজনের নাম রয়েছে অভিযুক্তের জায়গায়।
মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বুধবার থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। শিবাকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া দুজনেরই অভিযোগ, "মন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে। যতক্ষণ না তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাব। রাজ্যের সমস্ত জেলায় পাঁচদিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।"