সিপিআইএমের সদর কার্যালয়ের সামনে বিস্ফোরণ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগে সরব বামেরা। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা এই ঘটনায় সিপিএমকেই ঘুরিয়ে নিশানা করেছে কংগ্রেস। ঘটনা যাই হোক, খাস কেরলে শাসকদলের সদর কার্যালয়ের সামনে এই বিস্ফোরণ ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কেরলে ক্ষমতাসীন সিপিআইএমের রাজ্য সদর দফতর একেজি সেন্টারের ঠিক সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ওয়াইনাড সফরের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। ওয়াইনাডে গত সপ্তাহেই কংগ্রেসের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে সিপিআইএমের ছাত্র শাখা এসএফআই-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে। এদিন ওই কার্যালয়টি দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে কংগ্রেস নেতার।
এদিকে, শাসকদলের রাজ্য সদর কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাকে মোটেই হলকাভাবে নিচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন। ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল সিপিআইএমের সদর দফতরে যায়। ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে দেখেন বিশেষজ্ঞরা, চলে নমুনা সংগ্রহের কাজ।
আরও পড়ুন- পদ্ম নজরে ২০২৪, বিজেপির নয়া প্রচার ‘পরিবারতন্ত্র মুক্ত ভারতীয় রাজনীতি’
সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের আহ্বায়ক ই পি জয়রাজনের অভিযোগ, ''এই হামলার পিছনে কংগ্রেস ছিল।'' যদিও কংগ্রেস বামেদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উল্টে বাম নেতা জয়রাজনকেই নিশানা করেছেন কেরলের কংগ্রেস প্রধান।
আরও পড়ুন- বিদ্রোহী সেনা বিধায়কদের বরখাস্তের আর্জি, ১১ জুলাই শুনানি শীর্ষ আদালতে
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরন বলেন, ''একেজি সেন্টারের সামনে হামলা জয়রাজনের নিজের রচনা করা। আমি সিপিআইএমকেও দোষ দেব না। এই হামলার নেপথ্যে রয়েছেন জয়রাজন নিজেই। একেজি কেন্দ্রে পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে। কংগ্রেসের কোনও কর্মী কি সেখানে বোমা ছোড়ার সাহস করবেন?'' তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি থেকে জনগণের মনোযোগ সরাতে এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল।
তিনি বলেন, ''শুক্রবার রাহুল গান্ধী ওয়াইনাড সফরে থাকবেন। কোনও কংগ্রেস কর্মী কি বিশেষ এই দিনটি নষ্ট করতে সিপিআইএম অফিসে আক্রমণ করবেন? রাহুলের সফর থেকে মনোযোগ সরাতে চেয়েছিল সিপিআইএম। শুধুমাত্র একেজি কেন্দ্রের ঘনিষ্ঠ কেউই এই ধরনের আক্রমণ চালাতে পারেন।''