Advertisment

'ইচ্ছা করেই মিথ্যা অভিযোগ', স্মৃতির পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে 'কানমোলা' আদালতের

কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Delhi HC asks Congress leaders to remove social media posts in Smriti case

স্মৃতির পাশে দাঁড়াল আদালত।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দায়ের করা মানহানির মামলায় শুক্রবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, পবন খেরা এবং নেটা ডি'সুজার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। এরই পাশাপাশি স্মৃতির মেয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের টুইট এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিলিটের নির্দেশ আদালতের।

Advertisment

কংগ্রেস নেতারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে রাজনৈতিকভাবে অপদস্থ করতেই তাঁর মেয়েকে নিশানা করেছেন বলে শুরু থেকে সোচ্চার হন স্মৃতি ইরানি। তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও ব্যক্তিগত আক্রমণের ষড়যন্ত্র করারও অভিযোগ এনেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর দাবি, কংগ্রেস নেতাদের এহেন আচরণে তাঁর মেয়ের সুনামে আঘাত লেগেছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মেয়ের চরিত্র হননের চেষ্টারও অভিযোগ এনেছেন মা স্মৃতি। সেই অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন স্মৃতি।

কেন স্মৃতির মানহানি মামলা? কংগ্রেস নেতারা ঠিক কী অভিযোগ এনেছিলেন স্মৃতির মেয়ের বিরুদ্ধে?

উল্লেখ্য, গোয়ায় মৃত এক ব্যক্তির নামে লাইসেন্স বের করে অবৈধ রেস্তোরাঁ চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মেয়ের বিরুদ্ধে। রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মেয়ের বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ এনেছিলেন কংগ্রেস নেতারা। তবে শুরু থেকেই কংগ্রেসের সেই অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছিলেন স্মৃতি। এমনকী এব্যাপারে গান্ধী পরিবারকেই নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

তিনি বলেছিলেন, “আমার মেয়ের নামে অবৈধ পানশালা চালানোর অভিযোগ তোলা হচ্ছে শুধুই তাঁর চরিত্র হননের জন্য নয়। বরং রাজনৈতিক ভাবে আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্যও এই কাজ করা হচ্ছে।” অবৈধভাবে রেস্তোঁরা চালানোর অভিযোগ এনে কংগ্রেসের একাধিক নেতা টুইটার-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মৃতি ইরানির মেয়েকে বিঁধে সরব হয়েছিলেন। পাল্টা তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন স্মৃতি।

আরও পড়ুন- গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতার খামারবাড়ি থেকে মিলল বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক সামগ্রী

দিল্লি হাইকোর্ট স্মৃতির এই মামলায় তাঁর পক্ষেই রায় দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, “আবেদনকারী এবং তাঁর মেয়ে ওই রেস্তোরাঁর মালিক নন। তাঁরা ওই রেস্তোরাঁর কোনও লাইসেন্সের জন্য আবেদনও করেননি। এই সত্যটি জেনেও কয়েকজন (কংগ্রেস নেতারা) ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন মানহানিকর মন্তব্য করেছেন। আবেদনকারীর এবং তাঁর মেয়ের চরিত্রকে বিদ্বেষপূর্ণভাবে কলঙ্কিত করার চেষ্টা হয়েছে।''

আরও পড়ুন- ফের কুপিয়ে খুন কর্ণাটকে, প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা

বিচারপতি মিনি পুশকর্ণ এদিন বলেছেন, “আবেদনকারী প্রাথমিকভাবে একটি মামলা করেছেন। সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম - ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটার থেকে সংবাদিক সম্মেলনের সময় করা অভিযোগগুলি মুছে ফেলার নির্দেশ জারি করাকে যথাযথ বলে মনে করি। তাঁদেরকে অভিযোগ-সহ প্ল্যান্টিফ এবং তাঁর মেয়ের পোস্ট, ভিডিও, টুইট, রিটুইট, মর্ফ করা ছবিও মুছে ফেলা এবং সেগুলির পুনঃপ্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা না মানলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকেই ওই পোস্টগুলি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।''

আদালত এদিন আরও জানিয়েছে, ''প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে প্রকৃত ঘটনা যাচাই না করেই অপবাদমূলক অভিযোগ করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনের কারণে করা টুইট এবং রিটুইটের পরিপ্রেক্ষিতে বাদীপক্ষের সুনামকে মারাত্মকভাবে আঘাত করা হয়েছে।”

CONGRESS Delhi High Court Smriti Irani
Advertisment