এবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী এবং গান্ধী পরিবারের উত্তরসূরি রাহুল গান্ধীকেই ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ন্যাশনাল হেরাল্ডের তহবিল তছরুপ মামলায় তাঁদের তলব করা হয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার মালিক কংগ্রেস। দলই এই পত্রিকা চালায়। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী রাহুল এবং সনিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার প্রেক্ষিতে এই দুই নেতার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে আয়কর দফতর।
২০১৩ সালে দিল্লির এক আদালতে স্বামী অভিযোগ করেন, গান্ধী পরিবার ন্যাশনাল হেরাল্ডের অর্থ নয়ছয় করেছে। স্বামী অভিযোগ করেছেন, গান্ধী পরিবার ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রকাশক ইয়ং ইন্ডিয়ার ৮৬ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছিল গান্ধী পরিবার। তার মাধ্যমেই ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকাটি হাতিয়ে নিয়েছে গান্ধীরা। এমনই অভিযোগ করেছিলেন স্বামী। পাশাপাশি, গান্ধীরা কর ফাঁকি দিয়েছে বলেও স্বামী অভিযোগ করেছিলেন। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা গান্ধীরা নয়ছয় করেছে বলে তাঁর অভিযোগ।
এর আগে গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বামী। সেই কারণে বারবার হেনস্তার শিকারও হতে হয়েছে গান্ধীদের। এই নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা কম অভিযোগ দেখাননি। তবে, বফর্সই হোক বা অন্য কিছু। গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে স্বামী যেসব অভিযোগ করেছেন, তা ফেলে দিতে পারেনি গান্ধী পরিবারের সদস্যরাও। সম্প্রতি, কংগ্রেসের একাধিক নেতাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই বারবার অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- পাখির চোখ রাজ্যসভা, ওবিসি-দলিত ফরমুলায় বাজিমাতের চেষ্টা বিজেপির
প্রতিক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ দায়ের হয়েছে কংগ্রেসের নেতাদের বিরুদ্ধে। সেই কারণেই তাঁদের তলব করা হয়েছে। কখনও আবার ইডি নয়, বরং কংগ্রেসের নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এনিয়ে, কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা যতই বিক্ষোভ দেখান বা অভিযোগ জানান না-কেন, তাতে অবশ্য কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের তলব অব্যাহতই রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো।
Read full story in English