Advertisment

মণ্ডল প্যানেলের রিপোর্ট, যা কার্যকর করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভিপি সিং

৭১ বছর বয়সি মোদী স্বাধীনতার পর জন্ম নেওয়া দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
vp_singh

ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদে আট বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তৃতীয়বারের জন্যও প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গুজরাতের ভারুচে এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মোদী জানান যে একজন অতি প্রবীণ বিরোধী নেতা একবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে দু'বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তাঁর আর কী কাজ বাকি আছে? মোদী জানান, জবাবে তিনি বলেছেন যে দেশের সরকারী প্রকল্পগুলো একশো শতাংশ পূর্ণ না-হওয়া পর্যন্ত তিনি বিশ্রাম নেবেন না। ৭১ বছর বয়সি মোদী স্বাধীনতার পর জন্ম নেওয়া দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে, এই দেশ ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছে। সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সেই প্রধানমন্ত্রীদের চলার পথের সাক্ষী হয়েছে। তার মধ্যে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং তাঁর স্বল্প মেয়াদেই অনন্য কৃতিত্বের দাগ রেখে গিয়েছেন।

Advertisment

গোটা দেশের কাছে যিনি সংক্ষিপ্ত নাম ভিপি সিং নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। ভারতের এই অষ্টম প্রধানমন্ত্রী তাঁর সংক্ষিপ্ত মেয়াদের মধ্যেই অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র জন্য সরকারি চাকরিতে ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাব মেনে নিয়েছিলেন। কার্যকর করেছিলেন মণ্ডল কমিশনে রিপোর্ট। যা বাস্তবায়নের জন্য তাঁর যুগান্তকারী সিদ্ধান্তকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ভিপি সিংয়ের জন্ম হয়েছিল ১৯৩১ সালের ২৫ জুন। উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের মান্দার এলাকার তত্কালীন শাসক পরিবারের বংশধর হওয়ার সুবাদে তিনি পরিচিত ছিলেন 'মান্দার রাজা' হিসেবে। ১৯৮৯ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত, এই ৩৪৩ দিন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

আরও পড়ুন- রামরূপী কমল নাথের সঙ্গে ‘রাবণ’ শিবরাজের যুদ্ধ, ভোটের আগে মধ্যপ্রদেশে তুলকালাম

১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জনতা দল। সেই দলের নেতা হিসেবেই বসেছিলেন শীর্ষ পদে। ভিপি সিং-এর রাজনৈতিক যাত্রার শুরু হয়েছিল ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিকে। সেই সময় তিনি এলাহাবাদে কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে অন্তর্বর্তী নির্বাচনে হন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য। দুই বছর পরে, সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর, ফুলপুর কেন্দ্র থেকে পঞ্চম লোকসভার সদস্য হন। সেই সময় ভারতীয় ক্রান্তি দলের (বিকেডি) প্রার্থী বিডি সিংকে তিনি ৬৬,৭৮০ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের অক্টোবরে, ইন্দিরা গান্ধী সরকারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী পদে যোগ দেন। ১৯৭৭ সালের মার্চ পর্যন্ত ওই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস যখন জনতা পার্টির কাছে ষষ্ঠ লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়। সেই সময় ভিপি সিং-ও ভারতীয় লোকদলের (বিএলডি) প্রার্থী জনেশ্বর মিশ্রর কাছে এলাহাবাদে হেরে যান। তারপর হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও। এরকম নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ভিপি সিংয়ের রাজনৈতিক জীবন।

Read full story in English

PM PM Modi Indira Gandhi
Advertisment