কর্নাটক হাইকোর্ট নির্দেশে বলেছে, মামলা চলাকালীন কোনওরকম ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না-আসতে। কিন্তু, সেই নির্দেশকেও পরোয়া করল না কর্নাটকের মুসলিম পড়ুয়াদের একাংশ। তারা হিজাব এবং বোরখা পরেই শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসেছিল। যদিও তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এর আগে শুক্রবারও একই আচরণ করেছিলেন ওই পড়ুয়ারা। আদালতের নির্দেশের কথা জানালেও, তাঁরা মানতে চাননি। সেই সময়ই তাঁদের সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত দিন ১৪ ধরে এই বোরখা আর হিজাব বিতর্কে উত্তাল কর্নাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমনিতেই করোনায় লেখাপড়া শিকেয় উঠেছিল পড়ুয়াদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। এবার আবার জুটেছে বোরখা-হিজাব বিতর্ক।
ফলে, ফের অস্বস্তিতে কর্নাটকের স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। কর্নাটকের শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া ৫৮ ছাত্রীই শিবমোগ্গা জেলার শ্রীরালাকোপ্পার বাসিন্দা। এই প্রসঙ্গে ওই আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বলেন, 'আমরা এখানে এসেছিলাম। কিন্তু, অধ্যক্ষ জানালেন, আমাদের নাকি সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি আমাদের কলেজে আসতেও বারণ করে দিয়েছেন। এমনকী, কলেজের দরজায় দাঁড়ানো পুলিশও আমাদের আর কলেজে না-আসতে বলেছে।'
আরও পড়ুন- রাত পোহালেই ভোট, তার আগে চরম বিপাকে কেজরিওয়াল, গ্রেফতারির সম্ভাবনা
শুধু শিবমোগ্গা জেলার এই কলেজই না। কর্নাটক আদালতের নির্দেশ গোটা দেশ জেনে গেলেও বেশ কিছু ছাত্রী হিজাব পরেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছেন। আর, তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে কলেজের দরজায় দাঁড়ানো পুলিশ। তবে, ফিরে যাওয়ার আগে ওই পড়ুয়ারা পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো তর্ক জুড়ে দিচ্ছেন। তাঁদের দাবি, শিক্ষার মতোই বোরখা এবং হিজাবও তাঁদের জন্য জরুরি। কারণ, বিষয়টি তাঁদের ধর্মের বা সম্প্রদায়ের সঙ্গে জড়িত। তাই, তাঁরা নিজেদের হিজাব এবং বোরখা পরার অধিকার ছাড়বেন না।
এই পরিস্থিতিতে কর্নাটকের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিতর্ক এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিও ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে বেলাগাভি জেলার বিজয় প্যারামেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁরা কলেজে এসে দেখেন নোটিশ টাঙানো। সেখানে কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটির কথা বলা আছে। এই অবস্থায় তাঁদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওই পড়ুয়ারা।
Read story in English