দলবল নিয়ে নতুন দলে যোগ দিলেন হার্দিক প্যাটেল। ১৮ মে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। এরপর কী করবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনায় ইতি পড়ল বৃহস্পতিবার। এবার দল বদলই করে ফেললেন গুজরাতের পাতিদার নেতা। চলতি বছরের শেষে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নিজে থেকেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য হাঁকপাঁক করছিলেন পাতিদার নেতা। এমনকী টুইটও করেছিলেন, 'রাষ্ট্রহিত, প্রদেশহিত, জনহিত এবং সমাজহিতের ভাবনা থেকে আজ নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছি। ভারতের সফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশসেবার জন্য একজন ছোট সৈনিক হিসেবে কাজ করব।'
তারও আগে কংগ্রেস হাইকমান্ড তথা গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে গুজরাতিদের বিরোধিতা করার অভিযোগও এনেছিলেন এই পাতিদার নেতা। যার জেরে হার্দিকের রাজনৈতিক পদক্ষেপ এবার কী হতে চলেছে, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই জল্পনায় কার্যত ইতি টেনে মঙ্গলবার গুজরাতের মিডিয়া আহ্বায়ক যজ্ঞেশ দাভে বলেন, 'হ্যাঁ, তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। সমর্থকদের নিয়ে শ্রীকমলমে দলের সদর দফতরে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা। দলের রাজ্য সভাপতি সিআর পাতিল এই যোগদানপর্বে থাকবেন।' এরপর বৃহস্পতিবার গান্ধীনগরে দলের রাজ্য দফতরে বিজেপির টুপি পরে নিলেন হার্দিক। তাঁকে দলে স্বাগত জানান গুজরাত বিজেপির সভাপতি সিআর পাতিল ও গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল।
বছর ২৮-এর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হার্দিকের উত্থান ঘটে ২০১৫ সালে। সেই সময় তিনি পাতিদারদের সংরক্ষণের দাবিতে গুজরাতের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেই আন্দোলন শুরু করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে হার্দিকের নেতৃত্বাধীন পাতিদাররা ওবিসি কোটা চেয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেই সময় তাঁর ক্ষোভ ছিল গুজরাতের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেলের বিরুদ্ধে। আনন্দীবেন বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন- চরম বিপাকে কংগ্রেস! এবার রাহুল-সনিয়াকেই তলব ইডির
তবে, গুজরাত বিজেপির সকলে অবশ্য দলে হার্দিককে চাইছিলেন না। এমনই এক প্রবীণ নেতা বলেন, 'হার্দিককে দলে নেওয়াটা পুরোপুরি পার্টির শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্ত। তাই দলের কেউ ওঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না। কিন্তু, একটা বিষয় পরিষ্কার, বিজেপির প্রতি হার্দিকের ব্যবহার অনেকেই ভোলেননি। তাঁরা চাইছেন না, হার্দিক বিজেপিতে যোগ দিন।' বিজেপি নেতাদের একাংশের অভিযোগ, কংগ্রেসে থেকে হার্দিক বিধানসভা নির্বাচন জিততে পারবেন না, সেটা স্পষ্ট বুঝে গিয়েছেন। সেই কারণেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন। তবে, বিজেপির পুরোনো কর্মীরা নির্বাচনে ওঁর জন্য কতটা খাটবেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
Read full story in English