Advertisment

বিভৎস স্মৃতি ফেরাতে নারাজ কংগ্রেস, জয়ীদের আগলাতে কী উদ্যোগ রাহুলদের?

২০১৯-য়ের স্মৃতি মনে করে সাবধানী হাত শিবির।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
hotels booked in bangalore mahabalipuram Congress plays it safe as numbers hover around halfway mark , বিভৎস স্মৃতি ফেরাতে নারাজ কংগ্রেস, জয়ীদের আগলাতে কী উদ্যোগ রাহুলদের?

জয়ী কংগ্রেস বিধায়কদের সুরক্ষিত স্থানে জড়ো করা হয়েছে।

দক্ষিণী রাজ্যে জয় নিশ্চিৎ জেনেও নিশ্চিন্তে নেই কংগ্রেস। ২০১৯-য়ের স্মৃতি মনে করে সাবধানী হাত শিবির। ফলে জয়ী দলীয় প্রার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুতে হোটেল বুক করে ফেলেছেন রাহুল গান্ধীরা। সাবধানের মার নেই। সে কথা মনে করে তাই বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি বন্ধু ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ুর মহাবলিপুরমেও একটি হোটেল বুক করেছে কংগ্রেস। হাত শিবির সূত্রে খবর, ফলাফল চূড়ান্তভাবে প্রকাশের পরই হোটেলে নিয়ে চলে যাওয়া হতে পারে দলের জয়ী প্রার্থীদের।

Advertisment

কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রায় হাতের মুঠোয়। এখনও পর্যন্ত হওয়া গণনার ফল অনুসারে ২২৪ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস এগিয়ে ১৩৭টি আসনে। অর্থাৎ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে হাত শিবির। বিজেপির ঝুলিতে যাচ্ছে ৬২টি আসন। জেডিও ও অন্যান্যরা পেয়েছে যথাক্রমে ২০ ও ৪টি আসন।

দেশের সবচেয়ে প্রচীন রাজনৈতিক দল সূত্রে খবর, কংগ্রেস বেঙ্গালুরুতে শাংরি-লা হোটেল বুক করেছে। মূলত এই হোটেলেই জয়ী প্রার্থীদের রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের তামিলনাড়ুর মহাবালিপুরমে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

কেন এই উদ্যোগ?

ভারতীয় রাজনীতিতে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার 'রিসর্ট পলিটিক্স' লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে কর্ণাটকে, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে 'রিসর্ট পলিটিক্স' করেই ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে গেরুয়া বাহিনী। ২৬-য়ের লোকসভার আগে কর্ণাটকে এই জয় কংগ্রেসের কাছে অক্সিজেনের মত। ফলে ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনের আর পুনরাবৃত্তি চায় না সনিয়া-রাহুল গান্ধীরা।

আরও পড়ুন- ‘প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টা সত্ত্বেও আমরা মানুষের মনে দাগ কাটতে পারিনি’, আক্ষেপ বোম্মাইয়ের

আরও পড়ুন- পরাজয় স্বীকার বোম্মাইয়ের, নতুন মুখ্যমন্ত্রীর সন্ধানে কংগ্রেস

২০১৮ সালে ভোটের ফলের পর কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট বেঁধে কর্ণাটকে সরকার গঠন করে। শাসক জোটের কাছে ১১৬ জন বিধায়কের (কংগ্রেস ৭৬, জেডিএস ৩৭ এবং ৩ জন নির্দল)সমর্থন ছিল। কিন্তু এই জোট ক্ষমতা ছিল মাত্র ১ বছর। ২০১৯ সালে কংগ্রেস-জেডিএসের ১৭ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেন বিধানসভায়। পদত্যাগীদের মুম্বইয়ের একটি রিসর্টে ছিলেন। পরে পদত্যাগীরা বিজেপিতে যোগ দেন। কুমারস্বামীর বদলে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। যদিও ২০২১ সালের ২৬ জুলাই তিনি ইস্তফা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন বিজেপির বাসভরাজ বোম্মাই। সেই স্মৃতি দগদগে ঘায়ের মত হয়ে রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে। বিজেপি হানাদারি কৌশল বন্ধে এবার তাই প্রথম থেকেই সতর্ক কংগ্রেস।

আরও পড়ুন- দাক্ষিণাত্যে দলের সাফল্যে বুক চওড়া বঙ্গ কংগ্রেসের! জেলায়-জেলায় বিজয়োৎসব

karnataka karnataka elections CONGRESS bjp
Advertisment