শিবসেনায় চরম ডামাডোল। সরকারের পতন ঘটবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এর মধ্যেই দলের 'বিদ্রোহী' নেতা একনাথ শিণ্ডে মুম্বইতে পৌঁছান। তাঁর উপর পাল্টা চাপের কৌশল নিয়েছে উদ্ধব শিবির। একনাথকে নিশানা করে কখনও কড়া হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন সেনা মুখপাত্র, আবার কখনও দৃঢ় সংকল্পের কথা শোনাচ্ছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার ভার্চুয়ালভাবে দলের এক কর্মকাণ্ডে হাজির হন সেনা প্রধান। সেখানেই তিনি বলেন, 'দল আগেও বিদ্রোহের মুখোমুখি হয়েছে। তা সত্ত্বেও, শিবসেনা দু'বার ক্ষমতায় এসেছে। আমি হয়তো মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন 'বর্ষা' ছেড়েছি, কিন্তু আমার সংকল্প নয়,'
শিবসেনাএখন আড়াআড়িভাবে বিভক্ত। 'বিদ্রোহী'দের সরকার পতনের পরিকল্পনা বানচাল করতে কৌশলী পদক্ষেপ করছেন উদ্ধব ঠাকরেরা। ইতিমধ্যেই বেশ সেনার বেশ কয়েকজন 'বিদ্রোহী' বিধায়ককে বহিষ্কারের জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেছে শাসক জোটের বড় শরিক। এছাড়াও, উদ্ধব ঠাকরে দলের সমস্ত জেলা প্রধানদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন। সেখানে ছিলেন উদ্ধব-পুত্র আদিত্য। কেন বিদ্রোহী বিধায়করা বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শের কথা বলছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বালা সাহেবের কথা ছেড়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানানানোর জন্য তাঁদের আর্জি জানিয়েছেন উদ্ধব।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে মহাসঙ্কট: মুম্বইয়ের পথে একনাথ শিণ্ডে, সঞ্জয় রাউতের হুঁশিয়ারিতেই কাজ হল?
এদিকে বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিণ্ডে গুয়াহাটি ছেড়ে মুম্বাতে পৌঁছেছেন। তার আগেই শুক্রবার, শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত 'বিদ্রোহী' শিবিরকে মুম্বই ফেরার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, 'আমরা পরাজয় মানছি না।এই সরকার তার পুরো মেয়াদ টিঁকে থাকবে। প্রয়োজনে সেনারা রাস্তায় থাকবে।'
বিদ্রোহের পরে একনাথ শিণ্ডেকে শিবসেনা পরিষদীয় নেতার পদ থেকেসরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অজয় চৌধুরী সেই পদ পেয়েছেন। যাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার। শিণ্ডের দাবি তাঁর শিবিরে ৫০য়ের বেশি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।