রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের বাজি ছিলেন তিনি। তবে শিকে ছেঁড়েনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। তাঁকে হারিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুই দেশের ১৫তম নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তবে কি ফের রাজনীতির ময়দানে কামব্যাক ঘটতে চলেছে যশবন্ত সিনহার? ফের কি তৃণমূলেই ফিরছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ? এই প্রশ্নটা যখন নাড়াচাড়া দিতে শুরু করেছে তখনই মৌনতা ভাঙলেন যশবন্ত। সাফ জানালেন, আপাতত স্বতন্ত্রই থাকতে চান তিনি। এখনই কোনও রাজনৈতিক দলেই যোগ দেওয়ার ইচ্ছা নেই তাঁর। মঙ্গলবার নিজেই এই ইচ্ছার কথা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন যশবন্ত।
২০১৮ সালে বিজেপি ছাড়েন যশবন্ত সিনহা। বাজপেয়ী জমানায় কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন যশবন্ত। তবে মোদী-শাহদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারায় সমস্যা তৈরি হয়। শেষমেশ ২০১৮ সালে বিজেপির সঙ্গে পাকাপাকিভাবে সব সম্পর্ক চ্ছিন্ন করেন যশবন্ত। ২০২১ সালের মার্চে তৃণমূলে যোগ দেন বর্ষীয়ন এই রাজনীতিবিদ। দীর্ঘদিন জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় আগেভাগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। বিজেপি ছেড়ে তাই মমতার দলেই নাম লেখান যশবন্ত।
আরও পড়ুন- ‘পুলিশের দেশ ভারতে মোদীই রাজা’, সোনিয়াকে ED-র জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে সোচ্চার রাহুল
তৃণমূলও যশবন্ত সিনহার মতো ব্যক্তিত্ত্বকে দলে পেয়ে তাঁকে বড় পদ দেয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় নিজেই তৃণমূল ছাড়েন যশবন্ত। তবে ভোটের লড়াইয়ে হেরে যান তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হেরে গেলেও এবার আর রাজনীতির ময়দানে ফেরার ইচ্ছা নেই ৮৪ বছরে যশবন্ত সিনহার। এখন তিনি ঠিক কী করবেন তাও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেননি বলে জানিয়েছেন যশবন্ত।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি মিলে প্রার্থী করেছিল যশবন্তকে। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কারও যোগাযোগ হয়েছিল? উত্তরে যশবন্ত বলেন, "কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমিও কারও সঙ্গে কথা বলিনি। ব্যক্তিগতভাবে এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। এখন কী ভূমিকা নেওয়া যায় সেটা দেখতে হবে। আমার বয়স এখন ৮৪, এটাই সমস্যা। আমাকে দেখতে হবে আর কতক্ষণ চালিয়ে যেতে পারি।''