বজরং দল কর্মীর খুনের ঘটনায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কর্ণাটকের শিবামোগায়। ২৬ বছরের তরতাজা যুবক হর্ষের মৃত্যুতে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে শিবামোগায়। রবিবার রাতে খুনের পর সোমবার সকাল থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধছে জনতা-পুলিশের। একের পর এক গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এই ঘটনা এবার রাজনৈতিক রং নিয়েছে। খুনের জন্য কংগ্রেসের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। পাল্টা কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, হর্ষকে রবিবার রাতে চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতী মিলে কুপিয়েছে। সোমবার সকালে ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তপ্ত হয় শিবামোগা শহরে। হর্ষের দেহ মিছিল করে বাড়ি থেকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। সেই সময় পুলিশের গাড়িতে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে।
শিবামোগার রাজনৈতিক নেতা তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র এবং কে এস ঈশ্বরাপ্পার ইস্তফা দাবি করেছে কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, স"রকার খুনিদের খুঁজে শাস্তি দিক। সে যে ধর্ম-বর্ণের হোক। তিনি বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত নৈতিকতার খাতিরে ইস্তফা দেওয়া, কারণ তাঁর জেলাতেই এই খুন হয়েছে।"
আরও পড়ুন রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই, আনিস খুনে CBI চেয়ে মন্ত্রী-সাংসদের সামনেই প্রবল বিক্ষোভ
এদিকে, ঈশ্বরাপ্পা দাবি করেছেন, কংগ্রেসের প্ররোচনায় এই খুন হয়েছে। তিনি বলেছেন, "আমাদের দলের এক ভাল কর্মীকে খুন করা হয়েছে। মুসলিম গুন্ডারা এ কাজ করেছে। শিবামোগায় মুসলিম গুন্ডাদের বরদাস্ত করা হবে না। কড়া শাস্তি দেওয়া হবে দোষীদের। শিবাকুমারের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে এই খুন হয়েছে।"
আরও পড়ুন ডেরা ঘিরতেই গুলি, পাল্টা জবাব নিরাপত্তাবাহিনীর, এনকাউন্টারে নিহত জঙ্গি
পাল্টা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবাকুমার ঈশ্বরাপ্পার ইস্তফার দাবি জানিয়েছেন। ঈশ্বরাপ্পার মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেছেন, "আততায়ীদের খুঁজে বের করুক সরকার। যদি আমি দায়ী হই তাহলে আমার নামও রাখুক সরকার।" মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এদিন টুইট করে নাগরিকদের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, "হর্ষ নামের এক হিন্দু ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আমাদের সংগঠনের কর্মী ছিলেন তিনি। তদন্ত শুরু হয়েছে। বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আমি আশাবাদী দোষীরা শীঘ্রই গ্রেফতার হবে।"