মহারাষ্ট্রের মহাশক্তিধর মারাঠা নেতা শরদ পাওয়ারের মেয়েকে অপমানিত হতে হল। শরদ পাওয়ারের দল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি। সেই দলের সাংসদ শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে। মহারাষ্ট্রে আসন্ন নির্বাচনে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। সেই দাবিতেই মুম্বইয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন মহারাষ্ট্র বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের পুরনির্বাচনে ওবিসিদের জন্য আসন সংরক্ষণের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই কথা মাথায় রেখে মহারাষ্ট্র বিজেপি নেতৃত্ব পুরনির্বাচনে ওবিসিদের জন্য আসন সংরক্ষণের দাবিতে সরব হয়েছেন। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় রয়েছে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট। সেই শাসক জোটের পক্ষ থেকে বিজেপির এই দাবি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন সুপ্রিয়া সুলে।
তিনি জানিয়েছেন, 'সম্প্রতি দিল্লিতে আমার সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের দেখা হয়েছে। আমি শিবরাজ সিং চৌহানের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কোন আবেদনের ভিত্তিতে পুরনির্বাচনে আসন সংরক্ষণের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট? শিবরাজ কোনও উত্তর দিতে পারেননি। ' সুপ্রিয়া সুলের এই বক্তব্য সম্পর্কে মহারাষ্ট্র বিজেপির প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। জবাবে, মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল সরাসরি ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন সুপ্রিয়া সুলেকে। পাতিল বলেন, 'আপনি রাজনীতিতে নেমেছেন কেন? বাড়ি যান, ঘরসংসার করুন, রান্নাবান্না করুন গিয়ে। দিল্লিতেই যান আর শ্মশানেই যান, আমাদের ওবিসি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতেই হবে। আপনি একজন সাংসদ। অথচ, জানেনই না একজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য কীভাবে সময় চেয়ে নিতে হয়।'
আরও পড়ুন- লক্ষ্য ২০২৪, সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে ‘মাস্টার প্ল্যান’ বিজেপির, ‘হারা’ আসনে বাড়তি নজর
বিষয়টিকে এভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নামিয়ে আনায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতৃত্ব। মহারাষ্ট্র এনসিপির রাজ্য সভানেত্রী বিদ্যা চ্যাবন পাতিলের নাম না-নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিদ্যা বলেন, 'একজন জেতা মহিলা বিধায়ক। তাঁকে ফের টিকিট দিতে চায়নি যে লোকটা, উলটে ওই বিধায়কের আসনে নিজেই ভোট দাঁড়িয়ে পড়েছিল, তার মুখে আবার অন্যের সমালোচনা। ভালো পারফরম্যান্সের জন্য কে দু'বার সেরা সাংসদের পুরস্কার পেয়েছেন, সেটা ওই লোকটা জানে? সুপ্রিয়া সুলে পেয়েছেন।' এতেই শেষ নয়, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির নেতা-কর্মীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই ভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করায় চন্দ্রকান্ত পাতিলকে ক্ষমা চাইতে হবে। না-হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
Read full story in English