সোমবার মোহালিতে পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনীর সদর দফতরের কাছেই গ্রেনেড হামলার পর এখন পঞ্জাবে রাজনৈতিক টানাপোড়েন তুঙ্গে। ভোটের আগে থেকে বিরোধী বিজেপি, অকালি এবং কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, আম আদমি পার্টির সঙ্গে খালিস্তানপন্থীদের যোগ আছে। গ্রেনেড হামলার পর সেই অভিযোগ সপ্তম সুরে উঠেছে। পালটা, সুর চড়িয়েছে আম আদমি পার্টিও। তাদের অভিযোগ, এই সবই আসলে বিরোধীদের চক্রান্ত। বিরোধীরাই আম আদমি পার্টির সরকারকে মন থেকে মেনে নিতে পারছে না।
সেই কারণে সরকারের বদনাম করতে নানারকম ষড়যন্ত্র করছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান জানিয়েছেন, যারা তাঁর সরকারকে বদনাম করতে এই নোংরা খেলা খেলছে, তাদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না। কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পালটা, বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করছে, আপ সরকার শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা ব্যর্থ। পঞ্জাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষমতা তাদের নেই। আপ সরকারের এই ব্যর্থতার জন্যই পঞ্জাবে খালিস্তান আন্দোলন মাথাচাড়া দিচ্ছে।
তবে, অভিযোগ এবং পালটা অভিযোগ যাই হোক না-কেন, গ্রেনেড হামলায় পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের বিশেষ কোনও ক্ষতি হয়নি। কেউ আহতও হননি। কেবল জানালার কাচ গ্রেনেডের শব্দে ভেঙে গিয়েছে। এরপরই অবশ্য গোয়েন্দা বিভাগের সদর দফতরের নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, সম্প্রতি পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় খালিস্তানের দাবিতে পোস্টার পড়েছে। আর, পাতিয়ালায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। যার পিছনে খালিস্তানের দাবি এবং ছেড়ে আসা সন্ত্রাসবাদ পঞ্জাবে ফিরে এসেছে বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলো।
আরও পড়ুন- আদিবাসী যুবদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে নামতে আহ্বান, জিগনেশের উদাহরণ টানলেন রাহুল
সেই তালিকায় সবার আগে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির নাম। তবে, যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তিনি জানিয়েছেন, মালেরকোটলায় ডেপুটি কমিশনারের অফিসের বাইরে খালিস্তানের পতাকা তোলা, কাহানুয়ানে মহারানা প্রতাপের মূর্তি ভাঙচুর অথবা রোপারের পুলিশ সুপারের অফিসের বাইরে খালিস্তানের ফ্ল্যাগ লাগানোর মত ঘটনাগুলো আসলে রাজনৈতিক চক্রান্ত। এর সঙ্গে খালিস্তানের কোনও ব্যাপারই নেই। গোটাটাই, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আপ সরকারকে বদনাম করতে করে চলেছে।
Read story in English