বড়সড় রদবদল ঘটল মন্ত্রিসভায়। পদত্যাগ করলেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। এমনকী, স্পিকারও পদত্যাগ করেছেন। আগেই বারবার বলা হয়েছিল, মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হবে। সেই ঘোষণামতো এই বদল বলেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক নতুনদের সুযোগ দিতে চান। যাঁরা নতুন মন্ত্রী হবেন, অতীতে তাঁদের মন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে কি না, সেই জন্যই তা দেখা হবে না।
পদত্যাগী মন্ত্রীদের দলের সাংগঠনিক কাজে লাগানো হবে। রবিবারই নতুন মন্ত্রীরা শপথ নেবেন। তবে, স্পিকার সূর্যনারায়ণ পাত্রকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলেই বিজু জনতা দলের সূত্রে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ব্রজরাজনগর বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজু জনতা দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করেছে। পাশাপাশি, দলের তিন প্রার্থীই রাজ্যসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সেই কথা মাথায় রেখে মন্ত্রিসভা রদবদলের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে ওড়িশা সরকার।
গত ২২ বছর ধরে ওড়িশাতে বিজু জনতা দলের সরকার রয়েছে। তার মধ্যে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই নবীন পট্টনায়কের রাজনৈতিক জীবনের ২৫ বছর পূর্তি হয়েছে। তা সাড়ম্বরে পালন করেছেন নবীন। গত মাসেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি ২২ বছর পূর্ণ করেছেন। যার ফলে দল এবং সরকারের ওপর তাঁর এখন একচ্ছত্র আধিপত্য। তার জোরেই মন্ত্রিসভা এবং সাংগঠনিক রদবদলের সাহস নবীন দেখাতে পারছেন বলেই বিজু জনতা দলের একাংশের দাবি।
আরও পড়ুন- বড়সড় দলবদল, ‘কী তোফা গেল ভোটে টের পাবেন’, কটাক্ষ কংগ্রেসের
নবীনের এখন এতটাই আধিপত্য যে নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন, তা-ও তিনি খোলসা করেননি। এই ব্যাপারে বিজু জনতা দলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, 'কেউ জানেন না, কাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। জানেন কেবলমাত্র নবীন পট্টনায়ক। আর জানেন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব ভিকে পান্ডিয়ান। বাকি যা বলা হচ্ছে, সবটাই স্রেফ জল্পনা। দলে নবীন ছাড়া আর কেউ গুরুত্বপূর্ণ না।'
এপ্রিলেই শোনা যাচ্ছিল দল এবং সরকারে ব্যাপক রদবদল ঘটবে। পঞ্চায়েত এবং মিউনিসিপ্যালিটির নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করেছেন নবীন। তারপরই রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছেন।
Read full story in English