মুম্বইয়েপ প্রমোদতরীতে মাদক কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর। নবাব মালিকের দাবি, প্রমোদতরী কাণ্ডে ধৃত ঋষভ যাদবকে দিল্লির ফোন পেয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। বিজেপি নেতা মোহিত কাম্ভোজের শ্যালক ঋষভকে দিল্লি থেকে ফোন আসতেই ছেড়ে দেন এনসিবি আধিকারিকরা, এমনটাই অভিযোগ মালিকের। মহারাষ্ট্রের গেরুয়া শিবিরের নেতাদেরও ফোন যায় বলে অভিযোগ করেছেন মালিক।
উল্লেখ্য, কাম্ভোজ মুম্বইয়ের প্রাক্তন যুবা মোর্চা সভাপতি। মালিকের দাবি, প্রমোদতরী থেকে ১১ জনকে আটক করে এনসিবি। কিন্তু তিনজনেক ছেড়ে দেয়। ঋষভ, প্রতীক গাবা এবং আমির ফার্নিচারওয়ালাকে ছেড়ে দেওয়া হয়ে বলে সরব হয়েছেন মন্ত্রী। মিডিয়াকে তিনি বলেছেন, "এনসিবি অধিকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে ৮-১০ জনকে আটক করার বিষয়ে ভিত্তিহীন কথা বলেছেন। প্রথমে প্রমোদতরী থেকে ১১ জনকে আটক করা হল। মুম্বই পুলিশের কাছেও সেই খবর ছিল। কিন্তু সকাল হতেই সেই সংখ্যা কমে হয়ে গেল ৮। তার মানে তিনজন কোথায় গেল।"
মন্ত্রীর নিজের দাবির স্বপক্ষে একটি ভিডিও দেখিয়েছেন যাতে তিনজনকে আটক এবং ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে দেখা যাচ্ছে। মালিক আরও বলেছেন, "ঋষভ সচদেবকে দুঘণ্টা পর ছেড়ে দেয় এনসিবি। আর সে নিজের বাবা ও কাকার সঙ্গে চলে যায়। তিনজনকেই একসঙ্গে ছাড়া হয়েছে। গাবা এবং ফার্নিচারওয়ালার নাম আদালতের শুনানিতেও উঠেছে। কিন্তু আরিয়ান খানকে এই তিনজনের আমন্ত্রণেই সেখানে গিয়েছিলেন।"
আরও পড়ুন ছদ্মবেশে আরিয়ানকে গ্রেফতার! দুঁদে NCB অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের স্ত্রীও বলিউড অভিনেত্রী
মন্ত্রী আরও প্রশ্ন করেছেন যে, "প্রমোদতরীতে যখন এনসিবি হানা দেয় তখন তাতে ১৩০০ যাত্রী ছিলেন। কিন্তু মাত্র ১১ জনকে আটক করা হল। আর তাঁদের এনসিবি অফিসে এনে জেরা করা হল। এনসিবিকে এটা পরিষ্কার করতে হবে, কার নির্দেশের ওই বাকি তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হল। আমাদের কাছে তথ্য আছে, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির বিজেপি নেতাদের নির্দেশে ওঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।" ওয়াংখেড়ের জবাবদিহি চেয়েছেন মন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন