সেনার রাশ থাকবে কোন শিবিরের হাতে? রাজ্যপাটের কুর্সির পাশাপাশি এখন লড়াই তা নিয়েও। একনাথ শিণ্ডেদের দাবি, অধিকাংশ বিধায়ক 'বিদ্রোহী' হওয়ায় দলে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ফলে শিবসেনার ক্ষমতা এখন তাঁদেরই। এসবের মধ্যেই শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব পুত্র উদ্ধব ঠাকরে শুক্রবার জোর গলার দাবি কেরেছেন যে, দলের তীর-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
একনাথ শিণ্ডের মুখ্যমন্ত্রি পদে নিয়োগ নিয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল উদ্ধবরা। আগামী সোমবার সেই মামলার শুনানি হবে বলে এ দিন জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। দলের 'বিদ্রোহী' ১৬ জন বিধায়কের পদ খারিজ সংক্রান্ত মামলার শুনানিও সেদিন হবে সুপ্রিম কোর্টে। এতেই আশার আলো দেখছে উদ্ধব-গোষ্ঠী। কিছুটা অক্সিজেন পেয়েই মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে নিসানা করে প্রাক্তনের চ্যালেঞ্জ, 'দম থাকলে অন্তর্বর্তী নির্বাচন করুন। পূর্ববর্তী এমভিএ সরকারের পতনের বিষয়ে জনগণকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত।'
আরও পড়ুন- মমতা দ্রৌপদীর ‘জয়’ দেখার পরই প্রচারে বাংলায় নেই যশবন্ত, কৌশলে দূরত্ব তৃণমূলের
মারাঠা রাজ্য়ে এখন জোর গুঞ্জন যে, শিবসেনার প্রতীক হারাবেন বাহাসাহেব-পুত্রের গোষ্ঠী। যাকে বড় ভুল ধারণা জানিয়েছেন খোদ উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর হুঙ্কার, 'দলের প্রতীক নিয়ে খুব আলোচনা চলছে। আইন অনুযায়ী শিবসেনার কাছ থেকে কেউ তীর ও ধনুক কেড়ে নিতে পারবে না। এটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। নতুন প্রতীক নিয়ে ভাবার দরকার নেই। আমি আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই এটা বলছি।'
কয়েকজন বিদ্রোহী বিধায়কের জানিয়েছেন যে, উদ্ধব ঠাকরে যদি তাঁদের মর্যাদার সঙ্গে ডাকেন তবে তারা অবশ্যই দলে ফিরবেন। শিবসেনা নেতার মতে, তিনি বিষয়টি ভেবে দেখছেন। তবুও 'বিদ্রোহী' বিধায়কদের তোপ দেগে উদ্ধব বলেছেন, 'আপনারা যদি আমাকে, আদিত্য বা মাতোশ্রীকে এতই ভালোবাসেন তবে কেন আগে কথা বলেননি যখন বিজেপি আমার পরিবারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি নোংরা অভিযোগ করেছে। কীভাবে তাঁরা এখনও বিজেপির সঙ্গে রয়েছে?'
সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। শিবসেনার তাঁর অনুগামী সাংসদ, বিধায়করা কী এনডিএ-র দ্রৌপদী মুর্মুকেই ভোট দেবেন? উদ্ধব ঠাকরের দবাব, 'এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে দলের সমর্থনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সমস্ত সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে।'