এআইএডিএমকের সাধারণ পরিষদ সোমবার দলের শীর্ষ পদ পুনর্গঠনে মন দিল। গোষ্ঠীকোন্দলকে তুঙ্গে তুলে এডাপ্পাদি কে পালানিস্বামীকে অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করল। এটা প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ, সাধারণ পরিষদ বর্তমানে পালানিস্বামী গোষ্ঠীর দখলে। এতদিন এই পদে ছিলেন পনিরসেলভাম। সেই সূত্রে, সাধারণ পরিষদ দলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ও পনিরসেলভামকে বহিষ্কার করল। এটা যে ঘটতে পারে, তা আন্দাজ করেই মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পনিরসেলভাম। আদালতের কাছে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে তাঁর আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। আদালতের রায় হাতে পাওয়ার পরই পালানিস্বামী প্রভাবিত এআইএডিএমকের সাধারণ পরিষদ বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়।
শুধু তাই নয়, সাধারণ পরিষদ দলের দ্বৈত নেতৃত্বের পদ্ধতিও বাতিল করে দিল। যাবতীয় ক্ষমতা তুলে দিল পালানিস্বামীর হাতে। ২০১৭ সাল থেকে পালানিস্বামী এবং পনিরসেলভামের দ্বৈত নেতৃত্বেই চলছিল এআইএডিএমকে। কারণ, তাদের দ্বন্দ্ব মেটাতে এর বাইরে কোনও উপায় ছিল না। সেই সময় পনিরসেলভামকে তো দলের কোষাধ্যক্ষ এবং প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও বহিষ্কার করেছিল পালানিস্বামী গোষ্ঠী। গত ২৩ জুনও এআইএডিএমকের সাধারণ পরিষদ বৈঠক করেছিল। সেই সময় দলের ৬৬ বিধায়কের মধ্যে ৩ জন বাদে সকলেই পালানিস্বামীকে সমর্থন করেছিলেন। পালানিস্বামীকে এআইএডিএমকের প্রধান করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল এআইএডিএমকের সাধারণ পরিষদ।
আরও পড়ুন- আপাতত কোনও পদক্ষেপ করবেন না স্পিকার, সুপ্রিম নির্দেশে স্বস্তি উদ্ধব-শিণ্ডে শিবিরের
এবার পালানিস্বামীকে অন্তর্বর্তী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করাই শুধু নয়, তাঁকে স্থায়ী সাধারণ সম্পাদক পদে আনতে সাংগঠনিক নির্বাচনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআইএডিএমকের সাধারণ পরিষদ। সোমবারই মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রামাস্বামী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আদালত কোনও রাজনৈতিক দলের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই চাইলে এআইএডিএমকের সাধারণ পরিষদ আইন অনুযায়ী নিজেদের সভা পরিচালনা করতেই পারে। হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেওয়ার আগে চেন্নাইয়ে দলীয় সদর দফতরের বাইরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন পালানিস্বামী ও পনিরসেলভাম গোষ্ঠীর লোকজন। পুলিশ কোনওমতে সেই সংঘর্ষ বন্ধ করেছে।
Read full story in English