সংসদে অচলাবস্থা আরও গভীর হল। সাসপেন্ড হলেন লোকসভার চার কংগ্রেস সাংসদ মণিকম ঠাকুর, রম্যা হরিদাস, টিএন প্রথাপন ও এস জথিমনি। সেই সময় স্পিকারের আসনে ছিলেন রাজেন্দ্র আগরওয়াল। তিনিই সভাকে এই চার সাংসদের সাসপেন্ড হওয়ার খবর জানান। ৩৭৪ ধারা ভেঙে এই চার সাংসদ সংসদের ভিতরে প্ল্যাকার্ড দেখানোয় তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বিরোধীরা পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটির হার বৃদ্ধি নিয়ে অবিলম্বে আলোচনার দাবি জানাচ্ছিলেন। স্পিকার তাঁদের শান্ত হতে অনুরোধ করেন। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য এই চার সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। বিরোধীরা বিক্ষোভে অটল থাকায় শেষ পর্যন্ত স্পিকার ওম বিড়লা অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য এই চার সাংসদকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেন।
সংবিধানের ৩৭৪ ধারা বলছে, সংসদকক্ষের কোনও সদস্য যদি স্পিকারের আসনকে অমর্যাদা করে, কক্ষের নিয়ম ধারাবাহিক বা ইচ্ছাকৃতভাবে উল্লঙ্ঘন করে অধিবেশনে বিঘ্ন ঘটায়, তবে স্পিকার প্রয়োজন মনে করলে তাঁকে সাসপেন্ড করতে পারেন। শুধু তাই নয়, কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে যদি প্রস্তাব ওঠে, তবে স্পিকার ওই সদস্যের নাম উল্লেখ করে তাঁকে অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য সাসপেন্ড করতে পারেন।
আরও পড়ুন- আসল নাম দ্রৌপদী-ই নয়, নিজেই ফাঁস করলেন ভারতের নয়া রাষ্ট্রপতি
সোমবার প্রহ্লাদ জোশী তাঁর প্রস্তাবে বলেন, 'এই কক্ষ মণিকম ঠাকুর, টিএন প্রথাপন, এস জথিমনি ও রাম্যা হরিদাসের আচরণের কথা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করছে। কারণ, তাঁরা স্পিকারের আসনের অমর্যাদা করেছেন। তাঁকে অবমাননা করেছেন। তাই ৩৭৪ (২) বিধি অনুযায়ী, কক্ষের উল্লিখিত সদস্যদের অধিবেশন থেকে বরখাস্ত করা হোক।' জোশীর এই প্রস্তাব ধ্বনিভোটে পাশ হয়। স্পিকার এরপর অধিবেশন দিনের মত মুলতুবি করে দেন।
কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই সরকারপক্ষের বিরুদ্ধে কণ্ঠরোধের চেষ্টার অভিযোগ করছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার সংসদে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার পরিবেশ বজায় রাখছে না। বিরোধীদের সঙ্গে কোনও বিষয়ে আলোচনা ছাড়াই একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যার মাশুল গুণছে দেশ।
Read full story in English