দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ ভারতের কাছে এক সন্ধিক্ষণ। রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদী মুর্মু শপথ নেওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা দেশ গর্বের সঙ্গে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দেখেছে। নিজের কার্যকাল ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি সফলতার সঙ্গেই পূরণ করবেন বলেও প্রধানমন্ত্রী সোমবার আশাপ্রকাশ করেন। দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে শপথবাক্য পাঠ করার দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা। শুক্রবারই বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে পরাজিত করে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু।
আরও পড়ুন- আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হিসাবে ইতিহাস গড়লেন দ্রৌপদী মুর্মু, শ্রদ্ধার্ঘ্য আমূল ইন্ডিয়ার
দেশের প্রধান আদিবাসী রাষ্ট্রপতি প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, তাঁর নির্বাচন প্রমাণ করেছে, এদেশের গরিব মানুষও দেশের শীর্ষ সাংবিধানিক পদে বসতে পারে। বসার স্বপ্ন দেখতে পারে। শপথ নেওয়ার আগে সোমবার সকালে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন দ্রৌপদী মুর্মু। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও তিনি দেখা করেন। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষায়, 'শপথ গ্রহণের পর তাঁর ভাষণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুজি আশা ও সমবেদনার বার্তা দিয়েছেন। তিনি ভারতের সক্ষমতার ওপর জোর দিয়েছেন। এমন এক সময়ে তিনি ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরলেন, যখন ভারত আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করছে।'
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'সমগ্র দেশ আজ নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে গর্বের সঙ্গে দেখেছে। তাঁর রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হওয়া ভারতের মত এক দরিদ্র, প্রান্তিক এবং নিম্নবিত্তদের দেশের কাছে সন্ধিক্ষণ। আমি রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর সাফল্য কামনা করি।' ওড়িশার স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারী দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকে কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে বিধায়ক হয়েছেন। ওড়িশার মন্ত্রী হিসেবেও কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হয়েছিলেন। এবার তিনিই হলেন দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি। দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি। যাকে দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষের উত্থান বলেই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী।
Read full story in English