শিণ্ডে না ঠাকরে, কার নেতৃত্বে চলবে শিবসেনা? যুযুধান দু'পক্ষকেই এবার শিবসেনার সম্পূর্ণ পরিচালন ক্ষমতার ভার হাতে নিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা 'শক্তি'র প্রমাণ দিতে বলল নির্বাচন কমিশন। দু'পক্ষকেই উপযুক্ত নথি, বিধায়কদের সমর্থনের চিঠি এবং দলের শাখা সংগঠনগুলির লিখিত বিবৃতি জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। এমনকী প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলিও এব্যাপারে কী মতামত পোষণ করছে তাও বিবৃতি আকারে জমা দেওয়ার কথা বলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশন উভয় পক্ষকেই আগামী ৮ অগাস্টের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলেছে।
উল্লেখ্য, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ আঘাড়ি জোটের পতন ঘটে একনাথ শিণ্ডের হাত ধরে। শিবসেনার এই নেতাই দলের অধিকাংশ বিধায়ককে সঙ্গে টেনে উদ্ধবের ঘর ভেঙেছেন। বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছেন তাঁরা।
সংখ্যাগরিষ্ঠ শিবসেনা বিধায়কের সমর্থন দাবি করে দল পরিচালনার ভার তাঁর হাতেই থাকা উচিত বলে দাবি পেশ করেছেন শিণ্ডে। ২০ জুলাই সম্পূর্ণরূপে সেনার পরিচালন সত্ত্ব দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে।
শিণ্ডে গোষ্ঠী কমিশনে গিয়ে লোকসভা এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভায় লড়াইয়ের জন্য তাঁদের স্বীকৃতির দাবি করে 'ধনুক এবং তির' প্রতীক চেয়ে দরবার করে। তবে তারও আগে উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়। দলের নাম এবং নির্বাচনী প্রতীকের দাবির প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁদের মতামত যাতে শোনা হয় সেব্যাপারেই অনুরোধ জানিয়েছিল ঠাকরে শিবির।
শিবসেনার সম্পূর্ণ চালিকাশক্তি কার হাতে থাকবে? উদ্ধব ঠাকরে না একনাথ শিণ্ডে? এই প্রশ্নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সুপ্রিম কোর্টও। বুধবারই শীর্ষ আদালত নির্বাচন কমিশনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় দলগুলির মতামত জানতে নির্দেশ দিয়েছে। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন-সহ মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি নাগরিক সংস্থায় নির্বাচন আসন্ন। ওই নির্বাচনগুলিতেই ঠাকরে আর উদ্ধব গোষ্ঠীর শক্তির প্রমাণ মিলবে।