২০১৯-এ ভোটে হারের পর ফের আমেঠিতে মহামিছিল রাহুল গান্ধির। শনিবার তাঁর প্রাক্তন সংসদীয় ক্ষেত্রে মহামিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেসের যুবরাজ। একইসঙ্গে নোটবন্দি, জিএসটি এবং করোনা অতিমারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় কেন্দ্রের ঘাড়ে চাপালেন কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর দাবি, এত ব্যর্থতা সাধারণ মানুষের জীব দুর্বিসহ করে তুলেছে।
রাহুল এদিন আমেঠিতে দাঁড়িয়ে বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাই জানেন। বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড ভেঙেছে। যার কোনও উত্তর প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নেই। প্রধানমন্ত্রী গঙ্গায় ডুব দিয়েছেন কদিন আগে কিন্তু বেকারত্ব নিয়ে কোনও কথা বলবেন না। কেন যুব সমাজ কর্মসংস্থানের থেকে বঞ্চিত সেটা আমি বলছি। মধ্যবিত্ত এবং গরিব মানু। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে বাজে ভাবে প্রভাবিত হয়েছেন। যার ফলে বেকারত্ব মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে। নোটবন্দি, জিএসটি ভুলভাবে প্রয়োগ করা হয়। কোভিড সঙ্কটের সময় সরকার সাহায্য না করায় আজ দেশে বেকারত্ব আকাশ ছুঁয়েছে।"
এদিন আমেঠিকে সম্মানে ভরিয়ে দেন রাহুল। বলেন, "এই শহরই একদিন তাঁকে রাজনীতিতে পা রাখতে সাহায্য করেছিল। আমি ২০০৪ সালে রাজনীতিতে আসি। আমেঠি প্রথম শহর যেখানে আমি ভোটে লড়াই করি। আমেঠির মানুষ আমাকে রাজনীতির অনেক কিছু শিখিয়েছেন। আপনারা আমাকে রাজনীতির পথ দেখিয়ে ছিলেন, তার জন্য় আমি সবাইকে অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই।"
আরও পড়ুন ‘ইউপি প্লাস যোগী, বহুত উপয়োগী’, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদী
এদিন রাহুল এবং তাঁর বোন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা জন জাগরণ যাত্রার সূচনা করেন আমেঠি থেকে। এদিন আমেঠিতে যখন রাহুল-প্রিয়াঙ্কার মহামিছিল হচ্ছিল, সেইসময় রাজ্যের অন্য প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিলান্যাসে এসে বলেন, "দেশের উন্নয়নে কিছু রাজনৈতিক দলের মহাসমস্যা আছে। দেশের ঐতিহ্য নিয়ে তাঁদের বিরাট সমস্যা কারণ তাঁরা নিজের ভোটব্যাঙ্কের কথা ভাবেন। কিন্তু ওঁরা বুঝতে পারছে, দেশের উন্নয়ন হলে গরিব-সাধারণ মানুষ আর তাঁদের ভরসায় থাকবেন না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন