কংগ্রেস একাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। কারণ, আঞ্চলিক দলগুলোর কোনও আদর্শ বা কেন্দ্রীভূত দৃষ্টিভঙ্গী নেই। রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পর বিরোধী দলগুলোর বহু নেতাই বেশ বিরক্ত। এখনও বিজেপির বিরুদ্ধে সেভাবে গুছিয়ে উঠতে পারেনি বিরোধীরা। নির্বাচনী সাফল্যের বিচারে কংগ্রেস এখনও দেশের শাসক দলের চেয়ে কয়েক যোজন পিছিয়ে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী জোট গড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে টক্কর দেওয়া বিরোধীদের লক্ষ্য। সেখানে কংগ্রেসের একার কৃতিত্বে বিজেপিকে হারানো সম্ভব। অথবা এই জাতীয় মন্তব্য বিরোধী জোট গঠনের পথে অন্তরায়। এমনটা বারবার দাবি করেছেন অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা।
তাঁদের সেই বক্তব্যকে কার্যত যেন গুরুত্ব না-দিয়েই কংগ্রেসের একার কৃতিত্বের দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী। স্বভাবতই কংগ্রেসের বিজেপি বিরোধিতার ইচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলো। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বাস্তববাদকে কার্যত গ্রহণ করে নিলেন রাহুল। আগের অবস্থান থেকে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে তাঁর দাবি, উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে করা তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তিনি মোটেও কংগ্রেসকে বিরোধী দলগুলোর 'বিগ ড্যাডি' বলে মনে করেন না। তাঁর অবস্থানের সাফাই দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, 'আমি বলেছিলাম যে কংগ্রেস কোনওভাবেই অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর থেকে এগিয়ে নেই। যে সমস্ত দল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাদের একজোট হতে হবে। কারণ, এটা আদর্শগত লড়াই। এই লড়াই আরএসএসের জাতীয়তাবাদ আর কংগ্রেসের জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে হচ্ছে।'
আরও পড়ুন- সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে জয় নিয়ে কাটাছেঁড়া, ‘my’ ফ্যাক্টরকে কৃতিত্ব পদ্মনেতৃত্বের
লন্ডনে একটি কথোপকথনের সময় রাহুল বলেন, ' মেরুকরণ এবং গণমাধ্যমের ওপর বিজেপির আধিপত্যের কারণেই কংগ্রেস নির্বাচনে জিততে পারেনি। একইসঙ্গে তিনি জানান যে ভারতে লড়াই কোনও রাজনৈতিক দলের লড়াই নয়। এটি একটি রাজনৈতিক সংগঠন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জোটের মধ্যে লড়াই নয়। আমরা এখন একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরুদ্ধে লড়াই করছি। যে রাষ্ট্রীয় কাঠামো, একটি সংস্থা দখল করেছে। যার অর্থ, আমরা আমাদের দেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো থেকে কোনও সুবিধাই পাব না। তাই আমাদের একমাত্র উপায়, বৃহত্তর লড়াইয়ের পথে হাঁটা।' এই লড়াই শুধু কংগ্রেস নয়, সব বিরোধী দল এবং ভারতের জনগণের জন্যই জরুরি।'
Read full story in English