সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ চ্যাপেলের দরজায় মন্দির তৈরির ঘোষণা, অস্বীকার কলেজ কর্তৃপক্ষের

নয়াদিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজের চ্যাপালের দরজায় কালো কালি দিয়ে লেখা হয়েছে “মন্দির এহি বনেগা।” অর্থাৎ মন্দির এখানেই হবে।

নয়াদিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজের চ্যাপালের দরজায় কালো কালি দিয়ে লেখা হয়েছে “মন্দির এহি বনেগা।” অর্থাৎ মন্দির এখানেই হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
side St Stephen’s College to again ask Delhi University for autonomy. Express Photo by Amit Mehra. 25.02.2017. *** Local Caption *** Duta Teachers Protest in side St Stephen’s College to again ask Delhi University for autonomy.

খ্রিস্টান উপাসনাস্থলে মন্দির নির্মানের ঘটনা অস্বীকার কলেজের

নয়াদিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজের চ্যাপেলের দরজায় কালো কালি দিয়ে লেখা হয়েছে “মন্দির এহি বনেগা।” অর্থাৎ মন্দির এখানেই হবে। শুক্রবারের এ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার এ লেখা মুছে ফেলা হয়েছে। 

Advertisment

এই কলেজের উপাসনাস্থলের পাশেই রয়েছে একটা গোরস্থান। এখানেই শায়িত রয়েছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা স্যামুয়েল স্কট অলনাট। তাঁর কবরের ওপরের ক্রুশটিকেও ভেঙে তার উপর ওম চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে ইংরাজিতে লেখা রয়েছে, “আই অ্যাম গোইং টু হেল।”  বাংলায় তরজমা করলে দাঁড়ায় আমি নরকে যাচ্ছি। এই ঘটনায় কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সাই আশীর্বাদ বলেছেন, তিনি শুক্রবার লেখাটা দেখেছিলন। কিন্তু শনিবার সে লেখাটা মুছে দেওয়া হয়েছে বলেই তাঁকে জানানো হয়।

আরও পড়ুন, কর্নাটকে ‘মৃত’ বিজেপি নেতা অশোক পূজারি আজও বহাল তবিয়তে বেঁচে!

এই ঘটনায় মন্তব্য করতে চাননি কলেজের অধ্যক্ষ জন ভার্গিস। যদিও কলেজের পক্ষ থেকে রেনিশ আব্রাহাম এরকম কোনও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছেও কোনওরকম অভিযোগ করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisment

গত ২৮ এপ্রিল থেকে কলেজ বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীরাই এখন কলেজে যাচ্ছেন। ফাইনাল ইয়ারের এক ছাত্র জানিয়েছেন, তিনি এবং আরও অনেকেই শুক্রবার লেখাটি দেখতে পান।

অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফ্যাকাল্টি সদস্য বলেছেন, তিনি এই ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন তাঁর এক ছাত্রের পাঠানো কিছু ছবি দেখে। পরদিন সকালে গিয়ে তিনি দেখেন যে, লেখাটি মুছে দেওয়া হয়েছে। দরজাটি পালিশ করা কাঠের হওয়ার দরুন যেখানে লেখা হয়েছিল সেখানে কিছু অংশে রং উঠে গেছে।

এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই। ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে এবিভিপিও। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও। কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন, আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযুক্ত অর্ণব গোস্বামী, এফআইআর দায়ের