Advertisment

তামিলনাড়ু গুটখা কেলেঙ্কারির জেরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তল্লাশি চালাল সিবিআই

গুটখা কেলেঙ্কারির খবর সামনে আসে গত বছর জুলাই মাস নাগাদ। আয়কর দফতরের কাছে খবর ছিল তামিলনাড়ুর এক গুটখা এবং পান মশলা প্রস্তুতকারক সংস্থা ২৫০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়ভাস্কর

তামিলনাড়ু গুটখা কাণ্ডে চেন্নাই, মুম্বই, বেঙ্গালুরুসহ ৩১টি জায়গায় বুধবার তল্লাশি চালাল সিবিআই। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়ভাস্কর, সে রাজ্যের ডিজিপি টি কে রাজেন্দ্রন ডিজি এস জর্জ, প্রাক্তন মন্ত্রী বিভি রমন এবং আরও বেশ কিছু আধিকারিকের বাসভবনে হানা দেয় সিবিআই।

Advertisment

"সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত একই সঙ্গে ৩১ টি জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। পুলিশ অফিসার এবং মন্ত্রীদের বাসভবন ছাড়াও কয়েকজন আই আর এস আধিকারিকের বাসভবনেও তল্লাশি চালানো হয়েছে", জানিয়েছেন এক সিবিআই আধিকারিক।

আরও পড়ুন, কেরালা বিধায়কের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে সিপিএম শীর্ষনেতৃত্বে ফাটল

গুটখা কেলেঙ্কারির খবর সামনে আসে গত বছর জুলাই মাস নাগাদ। আয়কর দফতরের কাছে খবর ছিল তামিলনাড়ুর এক গুটখা এবং পান মশলা প্রস্তুতকারক সংস্থা ২৫০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। আয়কর দফতরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সংস্থার গুদাম, অফিস, কর্তৃপক্ষের বাসভবনে তল্লাশি চালানো হয় সে সময়ে। কর ফাঁকি দিতে ওই সংস্থা তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ঘুষ দিয়েছিল এমন অভিযোগও ওঠে। তখন তল্লাশি চালিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ কয়েকজন আধিকারিকের নাম উল্লেখ করা একটি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়ন্দা সংস্থা।

মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশে চলতি বছরের মে মাসে গুটখা কেলেঙ্কারির তদন্তের ভার নেয় সিবিআই। এই কেলেঙ্কারিতে তামিলনাড়ুর কয়েকজন সরকারি আধিকারিক, খাদ্য নিরাপত্তা এবং আফগারি দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই।

২০১৩ সালেই তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন, সঞ্চয় এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করে দেয় তামিলনাড়ু সরকার। সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত আইনজীবী এবং সিবিআই আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত স্পেশাল বেঞ্চ দ্বারা গুটখা কেলেঙ্কারি কাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে ডিএমকে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মুখ্য বিচারক ইন্দিরা ব্যানার্জির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ জানিয়েছেন, "ফুলে ফেঁপে ওঠা গুটখা ব্যবসা অপরাধের মধ্যেই পড়ে। অবিলম্বে তা বন্ধ হওয়া দরকার"।

tamil nadu
Advertisment