/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/07/uddhav_thakerey.jpg)
মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি বলেছিলেন, 'মহারাষ্ট্র, বিশেষ করে মুম্বই এবং থানে থেকে যদি গুজরাতি এবং রাজস্থানিদের হঠিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আর এখানে কোনও টাকা পড়ে থাকবে না। আপনারা মুম্বইকে দেশের আর্থিক রাজধানী বলেন। কিন্তু, গুজরাতি ও রাজস্থানিরা না-থাকলে, একে আর আর্থিক রাজধানী বলা হবে না।'
#WATCH | If Gujaratis and Rajasthanis are removed from Maharashtra, especially Mumbai and Thane, no money would be left here. Mumbai would not be able to remain the financial capital of the country: Maharashtra Governor Bhagat Singh Koshyari pic.twitter.com/l3SlOFMc0v
— ANI (@ANI) July 30, 2022
রাজ্যপালের সেই মন্তব্য ঘিরে এখন উত্তাল মহারাষ্ট্র। বিশেষ করে সমালোচনায় সরব উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা গোষ্ঠী। দলের নেত্রী তথা মুখপাত্র সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ইতিমধ্যেই কোশিয়ারির পদত্যাগ দাবি করেছেন। আর, উদ্ধব ঠাকরে প্রশ্ন ছুড়েছেন, 'সমাজকে বিভক্ত করাই কি রাজ্যপালের কাজ?'
যদিও, শনিবার, রাজ্যপাল কোশিয়ারি তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে তাঁর মন্তব্যের 'ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে'। একথা বলার পাশাপাশি, রাজনৈতিক দলগুলিকে 'অযথা বিতর্ক সৃষ্টি না-করতেও' তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা করে কোশিয়ারি বলেছেন, 'মরাঠি জনগণকে অবজ্ঞা করার কোনও ইচ্ছা আমার ছিল না। আমি শুধু গুজরাতি এবং রাজস্থানি বাসিন্দাদের অবদানের কথা বলেছি। মারাঠি জনগণই মহারাষ্ট্রকে তার বর্তমান অবস্থানে বিকশিত করেছে। তাই মারাঠিদের অবজ্ঞা করার কোনও প্রশ্নই আসে না।'
আরও পড়ুন- ‘গুজরাতি-রাজস্থানিদের টাকাতেই রাজ্য চলে’, রাজ্যপালের মন্তব্যে আগুনে ঘি!
কিন্তু, কোশিয়ারির এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন উদ্ধব। এই প্রসঙ্গে শনিবার উদ্ধব বলেন, 'আমি ওঁর ব্যাখ্যায় মোটেই সন্তুষ্ট নই। রাজ্যপালকে ক্ষমা চাইতেই হবে। তিনি শুধু মারাঠিদের অনুভূতিতে আঘাত করেননি, হিন্দুদেরও বিভক্ত করেছেন। রাজ্যপাল শপথ নেন। সম্প্রদায়কে বিভক্ত করা কি তাঁর কাজ? যদি এটি একটি অপরাধ হয়, তাহলে তাকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া উচিত।'
তিনি যোগ করেন, 'আমি জানতে চাই যে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসা নব্য-হিন্দুরা (বিজেপি ও একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা) এই বিষয়ে কী ভাবছেন। সরকারকে তার অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। দিল্লির এই পার্সেল (রাজ্যপাল কোশিয়ারি) যদি সম্প্রদায়কে বিভক্ত করে, তাহলে তাকে ফেরত পাঠানো উচিত। আর অপরাধ করলে তার শাস্তি হওয়া উচিত।'
Read full story in English