২২ গজের গণ্ডি ছাপিয়ে সময়ের সঙ্গে ঘন হয়েছে তাঁদের বন্ধুত্ব। সম্প্রতি, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নভজোত সিং সিধুকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে নির্বাচন লড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জানিয়েছেন, ভোটে দাঁড়ালে সিধু জিতবেন, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। ইমরানের এই বার্তা নিয়েই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, " ইমরান ওনাকে পাকিস্তান থেকে নির্বাচন লড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আজকাল ভারতের চেয়ে পাকিস্তান থেকে বেশি সম্মান এবং ভালোবাসা পাচ্ছেন সিধু"।
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না সিধুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের পর পর প্রকাশ্যে এল খলিস্তানি নেতা গোপাল সিং চাওলার সঙ্গে সিধুর ছবি। গোপাল সিং নিজেই ফেসবুকে সে ছবি আপলোড করেছেন। রাজনৈতিক মহলে সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতা তাজিন্দার বাজ্ঞা বলেছেন, "পাকিস্তান গিয়ে খলিস্তানি আতঙ্কবাদীর সঙ্গে দেখা করেছেন সিধু। রাহুল গান্ধী জানেন তো, ব্যাপার খানা কী"?
আগস্ট মাসে পাক প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে যে সমালোচনার ঝড় ওঠে, বুধবার তার তীব্র নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর ইমরানের মন্তব্যের পরপরই কটাক্ষ করেন হরসিমরত কউর বাদল।
আরও পড়ুন, পাকিস্তানের পাঞ্জাব থেকে ভোটে দাঁড়ালে সিধু জিতবেনই: ইমরান খান
পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমি শুনেছি আমার শপথ গ্রহণের সময় নভজ্যোত সিং সিধুর এদেশে আসা নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছে। ওঁ চাইলে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের নির্বাচনে দাঁড়াতেই পারে। ওঁ জিতবে”।
ইমরান খানের মন্তব্য নিয়ে বিজেপির মধ্যে কম জল ঘোলা হয়নি। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি এত ভালোবাসা যখন রয়েছে সিধুর মনে, তিনি সে দেশের মন্ত্রীসভায় যোগ দিলেই পারেন"।
গত সপ্তাহে কাশৌলির খুসবন্ত সিং সাহিত্য উৎসবে ভাষণ দেওয়ার সময় দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার সিধু বলেন, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ ভারতের মধ্যে পাকিস্তানের সংস্কৃতির সঙ্গেই পাঞ্জাবের অনেক বেশি মিল রয়েছে। "দক্ষিণ ভারতে যখন যাই, ওখানকার ভাষা বুঝতে পারি না। ওখানকার খাওয়া দাওয়া যে অপছন্দ করি, তা নয়। তবে বেশিদিন একটানা খেতে পারি না। সংস্কৃতি তো একেবারেই ভিন্ন"।
Read the full story in English