Advertisment

নেতাজি সুভাষ বোসকে হত্যা করেছিলেন স্তালিন: সুব্রহ্মণিয়ন স্বামী

স্বামী আরও বলেন, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা, যা কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দেয়, তা রাষ্ট্রপতির একটি নোটিফিকেশন জারির মাধ্যমে যেকোনও সময়েই বাতিল করা যেতে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফাইল ফোটো

বিজেপি-র বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণিয়ন স্বামী নতুনতম বক্তব্য হাজির করেছেন। শনিবার সন্ধেয় তাঁর নয়া দাবি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসকে হত্যা করার পিছনে ছিলেন জোসেফ স্তালিন। সুভাষ বোস যখন রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তখনই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে দাবি সুব্রহ্মণিয়ন স্বামীর।

Advertisment

ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সাংস্কৃতিক গৌরব সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। স্বামীর দাবি, সুভাষ বোস ১৯৪৫ সালে প্লেন দুর্ঘটনায় মারা যাননি। তিনি কম্যুনিস্ট রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং সেখানেই তাঁকে হত্যা করা হয়।

আরও পড়ুন, বারাণসীতে ভোট পেতে এবার মোদির চিঠি হাতিয়ার বিজেপির

তাঁর বক্তব্যে স্বামী বলেন, ‘‘সুভাষ বোস ১৯৪৫ সালে মারা যাননি। তিনি রাশিয়ায় আশ্রয় চেয়েছিলেন, এবং তাঁকে সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। জওহরলাল নেহরু এ ব্যাপারে সব কিছুই জানতেন। পরে স্তালিন সুভাষ বোসকে হত্যা করেন।" বিজেপি সাংসদের আরও দাবি, ব্রিটিশরা ভারতকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে স্বাধীনতা দিয়েছিল, তার কারণ ছিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের আজাদ হিন্দ সরকার, যে সরকার আজ থেকে ৭৫ বছর আগে সিঙ্গাপুরে গঠিত হয়েছিল।

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লেমেন্ট অ্যাটলির ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে সুব্রহ্মণিয়ম স্বামী বলেন, একটি প্রশ্নের উত্তরে ক্লেমেন্ট অ্যাটলি বলেছিলেন যে তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, ভারতবাসী যদি তাঁদের সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে, তাহলে তাঁদের পক্ষে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য খ্যাতি অর্জনকারী সুব্রহ্মণিয়ন স্বামী শুধু নেতাজি সুভাষ বোসের মৃত্যু নিয়ে বক্তব্যেই থেমে থাকেননি। এদিন তিনি বলেন, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা, যা কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দেয়, তা শুধু দেশের রাষ্ট্রপতির একটি নোটিফিকেশন জারির মাধ্যমে যেকোনও সময়েই বাতিল করা যেতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘‘৩৭০ ধারা বাতিল করতে সংসদে ভোটাভুটিরও দরকার নেই। ভারতের রাষ্ট্রপতি শুধু একটা নোটিফিকেশন জারি করলেই ওই ধারা নাকচ হয়ে যাবে।’’

৩৭০ ধারা বাতিল ইস্যুতেই বিজেপি এবং মেহবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন পিডিপি-র মধ্যে মতানৈক্য। পিডিপি জম্মু কাশ্মীর সরকারের পূর্বতন জোটসঙ্গী ছিল।

স্বামী এদিন আরও বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিকতম একটি সিদ্ধান্তের ফলে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘‘আদালতে আমার আবেদনের ব্যাপারে এবার দ্রুত সিদ্ধান্ত হতে পারবে। চার-পাঁচ দিন আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের ১৯৯৫ সালের রায়ের পরিবর্তন ঘটানোর প্রয়োজন নেই। রাস্তা এবার সাফ হয়ে গেছে।"

bjp netaji
Advertisment