পদ খুইয়েই মানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিধু। পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নভজ্যোত সিং সিধু। পদত্যাগের ঠিক একদিন পরেই সিধুর মুখে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের প্রশংসা। পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে সিধু টুইটে লিখেছেন, ''একটি নতুন মাফিয়া বিরোধী যুগ শুরু করবেন মান।'' বুধবারই পাঞ্জাবের ১৮তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ভগবন্ত মান। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিংয়ের জন্মস্থান খটকার কালানে বর্ণাঢ্য এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ দলের তাবড় নেতা হাজির ছিলেন।
পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর ও গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরেই সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে পদত্যাগ করেছেন এই পাঁচ রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান। কোপ পড়েছে সিধুর উপরেও। পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন সিধু। পদত্যাগের একদিন পরেই এবার পাঞ্জাবের নয়া মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের প্রশংসায় কংগ্রেস নেতা। টুইটে সিধু লিখেছেন, ''সবচেয়ে সুখী মানুষ সেই ব্যক্তি যাঁর কাছ থেকে কেউ কিছু আশা করেন না। ভগবন্ত মান পাঞ্জাবে একটি নতুন মাফিয়া-বিরোধী যুগের সূচনা করবেন। এই লক্ষ্য নিয়েই তিনি কাজ করে যাবেন। মানুষের স্বার্থে জনদরদী নীতি নিয়ে পাঞ্জাবকে পুনরুজ্জীবনের পথে ফিরিয়ে আনবেন।''
পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সিধুর জন্যও সময়টা বেশ কঠিন ছিল। গত ৮ মাস ধরে দলের অন্দরেই চলেছে লড়াই। একাধিকবার পাঞ্জাব কংগ্রেসের কোন্দল সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীকে। পাঞ্জাব থেকে বারবার দিল্লি উড়ে গিয়েচেন সিধুও। সব মিলিয়ে পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত ৮ মাস রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সঙ্গে দলের কাজ করে যেতে হয়েছে তাঁকে। তবে দলনেত্রীর নির্দেশে আপাতত সেই কাজ থেকে মিলেছে মুক্তি। হারের দায় নিয়ে পদ ছাড়তে হয়েছে সিধুকে।
আরও পড়ুন- ভাজ্জির নয়া ইনিংস! ঝাড়ু হাতেই সম্ভবত রাজ্যসভায় হরভজন সিং
পদত্যাগের পরের দিনই ভগবন্ত মানের প্রশংসা করে সিধুর এই টুইট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস সভাপতির ইচ্ছা অনুযায়ী তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা। পাঞ্জাবে দলের ভরাডুবির পরেই কর্মীদের চাঙ্গা রাখার বদলে আম আদমি পার্টিকেই শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন সিধু। রাজ্যে দলের প্রধান কাণ্ডারীর হারের দায় নেওয়ার বদলে জয়ী শিবিরের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ভালোভাবে নেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।
আপ-এর পঞ্জাব বিজয়ের পর সিধু বলেছিলেন, ''রাজ্যের জনগণ একটি ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্যে AAP-এর জয়ের পরে একটি নতুন ভিত্তি তৈরি হয়েছে। এই রাজনীতি ছিল পরিবর্তনের জন্য। আমি পাঞ্জাবের জনগণকে অভিনন্দন জানাই। যাঁরা একটি খুব ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঐতিহ্যগত ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করেছেন। একটি নতুন ভিত্তি তৈরি করেছেন। এই রায় বিনীতভাবে গ্রহণ করা উচিত, কারণ মানুষের কণ্ঠ ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর"।
Read story in English